ধর্ষণ ও হত্যা করে সরাসরি ফেসবুকে লাইভ দিয়ে মাটিচাপা দিলেন ধর্ষক

ধর্ষণ শেষে এক নারীকে কিভাবে কোথায় লাশ গুম করে মাটিচাপা দেয়া হয়েছিল ফেসবুক লাইভে 'খুনি'কে সঙ্গে নিয়ে স্পট চিহ্নিত করল র্যাব-১১। ওই সময় 'খুনি ধর্ষক' লাইভে অকপটে দৃঢ়তার সাথে বলে যাচ্ছিলেন নিজের অপকর্মের কথা।
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের কাঁচপুরের মঞ্জিলখোলা এলাকায় ধর্ষণের পর হত্যার শিকার মিনু আক্তার (৩০) নামে ওই নারীর মাটিচাপা দেয়া লাশ উদ্ধার করেছে র্যাব। ঘটনার ১৬ দিন পর হত্যাকারী জুনায়েদ(৪৮) আহমেদকে আটকের পর শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মাটি খুঁড়ে ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ সময় একটি অনলাইন পোর্টালের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখা যায় জুনায়েদ কিভাবে মিনুকে হত্যার পর কোথায় লাশ গুম করেছে সেই স্পট দেখিয়ে দিচ্ছে।
জানা গেছে, হত্যার শিকার মিনু সোনারগাঁও মঞ্জিলখোরা এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা মনোয়ারা বেগম মদিনার মেয়ে। তিনি একজন স্বামী পরিত্যক্ত নারী। ঘাতক জুনায়েদ বিবাড়িয়া জেলার হরিপুর গ্রামে মৃত সৈয়দ রফিক উদ্দিনের ছেলে। তার স্ত্রীর নাম রোকেয়া। জুনায়েদের স্ত্রী একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করেন। স্ত্রী চাকরিতে গেলে প্রায় সময় মিনুকে নিয়ে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তুলে লম্পট জুনায়েদ। গত ২১ মে কোন একটি বিষয় নিয়ে মিনু ও জুনায়েদের মধ্যে তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে মিনুকে হত্যা করে জুনায়েদ। পরে মিনুর লাশ প্রথমে বিবস্ত্র অবস্থায় মঞ্জিলখোলা এলাকার একটি মাছের খামারে কস্তুরির নীচে লুকিয়ে রাখে। একদিন পর জুনায়েদ মিনুর লাশ কস্তুরি থেকে বের করে পুকুরের পাশেই মাটিচাপা দেয়।
এদিকে, মেয়ে মিনু নিখোঁজের ঘটনায় মা মদিনা সোনারগাঁও থানায় গত ২৩ মে একটি সাধারণ ডায়েরি করেন (জিডি নং-৯২৪)। থানা পুলিশ ব্যর্থ হওয়ায় মা মদিনা র্যাব-১১ এর দ্বারস্থ হন। র্যাব-১১ পরবর্তীতে মোবাইল ট্র্যাকিং এর মাধ্যমে মিনুর সাথে জুনায়েদের যোগাযোগের বিষয়টি নিশ্চিত হয়। পরে জুনায়েদকে আটকের পর সে সব স্বীকার করে নেয়। আজ সকালে জুনায়েদ মিনুর লাশ কোথায় কিভাবে হত্যা শেষে গুম করেছে তা র্যাবকে জানিয়ে স্পটে দেখিয়ে দেয়।
এদিকে মিনুর পরিবারের দাবি, মিনুকে জুনায়েদ বিয়ে করেছিল। তবে তারা কাবিননামার কোন কাগজ দেখাতে পারেননি।
এ বিষয়ে র্যাব-১১ এর সিনিয়র এএসপি আলেপ উদ্দিন জানান, গত ২১ মে মিনুকে ধর্ষণের পর হত্যা করে মাটিচাপা দিয়ে মরদেহ গুম করে জুনায়েদ। বিষয়টি র্যাবকে জানানো হলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঘাতক জুনায়েদকে আটক করা হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ১৬ দিন পর তাকে সঙ্গে নিয়ে মাটিখুঁড়ে মিনুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি আরো জানান, পুরো ঘটনাটির আরো তদন্ত চলছে।’
নতুনসময়/আল-এম