ঢাকা মঙ্গলবার, ৯ই সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৫শে ভাদ্র ১৪৩২


নেপালে জেনজিদের বিক্ষোভ: নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৯


৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ২১:১৪

সংগৃহীত

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিষিদ্ধ করার প্রতিবাদে নেপালে জেনারেশন জেড খ্যাত তরুণদের বিক্ষোভের জেরে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৯ জন হয়েছে। তার মধ্যে রাজধানী কাঠমান্ডুতে ১৭ জন এবং পূর্বাঞ্চলীয় শহর ইতাহারিতে ২ জন নিহত হয়েছে। খবর বিবিসির।

 

সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) বিক্ষুব্ধ তরুণ-ছাত্র-জনতা কারফিউ ভেঙে সংসদ ভবনে ঢুকে পড়লে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ জলকামান, টিয়ারগ্যাস ও রাবার বুলেট ব্যবহার করে।

 

এ সময় দুই পক্ষের সংঘর্ষে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রাণঘাতী বলপ্রয়োগে তারা মারা যান এবং আহত হয়েছেন শতাধিক। যাদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

 

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দেশটির কাঠমান্ডু, পোখরা, বুটওয়াল, ভৈরহাওয়া ও ইতাহারীসহ অন্যান্য এলাকায় কারফিউ জারি করা হয়েছে। তবে কারফিউ জারির পরও সব জায়গায় বিক্ষোভ থামেনি।

 

সম্প্রতি নেপালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিষিদ্ধ করে দেয়া হয়। গত ৪ সেপ্টেম্বর থেকে ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, ইনস্টাগ্রাম, ইউটিউবসহ ২৬টি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম বন্ধ রয়েছে।

 

সরকারের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদেই মূলত এ বিক্ষোভ। বিক্ষোভকারীরা এই আন্দোলনকে ‘জেন-জি রেভলিউশন’ নাম দিয়েছে বিক্ষোভকারীরা।

 

নেপাল সরকারের ভাষ্য, দেশটিতে কিছু প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে ভুয়া আইডি ব্যবহারকারীরা ঘৃণা ও গুজব ছড়াচ্ছে, সাইবার অপরাধ করছে এবং সামাজিক সম্প্রীতি নষ্ট করছে।

 

গত বুধবার পর্যন্ত এসব সামাজিক প্ল্যাটফর্মকে নিবন্ধন করার সবশেষ সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল। সময় পেরিয়ে যাওয়ার পর বৃহস্পতিবার দেশটির টেলিকমিউনিকেশনস অথরিটিকে (এনটিএ) অনিবন্ধিত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো বন্ধ করার নির্দেশ দেয় নেপাল সরকার।

 

এর ফলে সরাসরি জনগণের কণ্ঠরোধ করা হচ্ছে বলে দাবি আন্দোলনকারীদের।