ঢাকা শনিবার, ১৩ই সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩০শে ভাদ্র ১৪৩২


টি-টোয়েন্টিতে কতটা নাজুক বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা?


১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৪:৪৮

সংগৃহীত

গত এক দশকের আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে শীর্ষ ১০ দলের মাঝে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার রানরেট সবচেয়ে কম। প্রশ্ন উঠতেই পারে, এশিয়ার অন্য দেশগুলোর সাথে তাল মিলিয়ে কেন চলতে পারছে না এই দুই দল? পরিসংখ্যান বলছে, সমস্যা অনেক থাকলেও উন্নতির চিহ্ন সামান্যই।

 

মূলত, আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে অর্ধেকেরও বেশি সময় ধরে রান রেটের দিক থেকে সবচেয়ে পিছিয়ে এই দুই দল। ২০১৫ সাল থেকে এখন পর্যন্ত দুই দলই প্রায় সবসময় শীর্ষ ১০ এর মাঝে ছিলো তলানির দিকেই। এছাড়া তাদের ব্যাটিং দুর্বলতা পাওয়ার প্লে, মিডল অর্ডার ও ডেথ ওভার সব পর্যায়েই ছিলো। যদিও সাম্প্রতিক সময়ে পাওয়ারপ্লেতে শ্রীলঙ্কা ও ডেথ ওভারে বাংলাদেশ গড়পড়তা মানে পৌঁছে। তবে সামগ্রিক চিত্র এখনও নাজুক।

 

ক্রিকেট ভিত্তিক জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ক্রিকইনফোর তথ্য অনুযায়ী, ২০১৫ সাল থেকে রান রেটের দিকে চোখ রাখলে দেখা যায় এশিয়ার ক্ষমতাশালী দল ভারতের রানরেট ৮.৯১। সেখানে বাংলাদেশের ৭.৫৮ আর শ্রীলঙ্কার ৭.৬৬। এছাড়া ঘরের মাঠে যেখানে দক্ষিণ আফ্রিকার রানরেট ৯ সেখানে বাংলাদেশের ৬.৬ আর শ্রীলঙ্কার ৭.৩। সেইসাথে এই দুই দলের ব্যাটিং গড়ও সবচেয়ে কম। কিন্তু প্রশ্ন জেগেছে কেন দীর্ঘ সময় ধরেই ব্যাটিং এ ধুকছে এই দুই দল?

 

ধারণা করা হচ্ছে শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশের উইকেটগুলো বিশেষ করে প্রেমাদাসা ও মিরপুর স্টেডিয়ামের উইকেট এতটাই স্পিনবান্ধব, যে ব্যাটাররা আক্রমণাত্মক খেলার মানসিকতা বা দক্ষতা তৈরি করতে পারেনা। ২০২৩ সালের আগষ্টে, লঙ্কান প্রিমিয়ার লিগে প্রেমাদাসার উইকেট নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন। আর কয়েকমাস আগেই মিরপুরের উইকেটকে বলেছিলেন, এটি আন্তর্জাতিক মানের উইকেট নয়।

 

টি-টোয়েন্টির মূল প্রাণ পাওয়ার হিটিং। ওয়েস্ট-ইন্ডিজ, ইংল্যান্ড কিংবা ভারত নিয়মিতই এমন ব্যাটার তৈরি করছে যারা শেষ ওভারে ২০ রান তোলার ক্ষমতা রাখে। আর বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কাতে এধরণের ক্রিকেটার হাতে গোনা। সেই সাথে এই ফরম্যাটে যেখানে ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া-ভারত ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলছে সেখানে চাপের মুখে পরলে ব্যাকফুটে চলে যান লঙ্কান ও টাইগার ব্যাটাররা। ছোট স্কোর তাঁড়া করতে গেলেও ঝুঁকি নিতে ভয় পান তারা।

 

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে দীর্ঘমেয়াদি রান রেট সমস্যার সমাধান চাইলে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কাকে ঘরের মাঠের উইকেটের মানোন্নয়ন জরুরি। ব্যাটারদের এমন পরিবেশে খেলতে হবে যেখানে তারা আক্রমণাত্মক ও আধুনিক টি-টোয়েন্টির সাথে মানিয়ে নিতে পারে। যতদিন না তারা খেলার ধরণ বদলাতে পারছে, ততদিন শীর্ষ দলের সঙ্গে পাল্লা দেয়া দুঃসাধ্যই থেকে যাবে।