ঢাকা মঙ্গলবার, ২৩শে ডিসেম্বর ২০২৫, ১০ই পৌষ ১৪৩২


ইরানের বন্দরে বিস্ফোরণে নিহত বেড়ে ১৪, আহত ৭৫০


২৭ এপ্রিল ২০২৫ ১২:০০

ফাইল ফটো

ইরানের বন্দর আব্বাসের শহিদ রাজি বন্দরে ভয়াবহ রাসায়নিক বিস্ফোরণে নিহত বেড়ে ১৪ জনে দাঁড়িয়েছে। সেই সঙ্গে আহতের সংখ্যা ৭৫০ ছাড়িয়েছে। 

 

শনিবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে দেশটির সবচেয়ে বড় ও আধুনিক বন্দরে বিশাল এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। 

 

আহতদের হরমুজগান প্রদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

 

বিস্ফোরণের পরপরই অনেকে ধারণা করতে থাকেন সেখানে নাশকতার ঘটনা ঘটতে পারে। তবে দেশটির জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার মুখপাত্র হোসেন জাফারি জানিয়েছেন, নাশকতার আলামত পাওয়া যায়নি। 

 

তিনি বার্তাসংস্থা আইএলএনএ-কে জানিয়েছেন, কনটেইনারের ভেতর থাকা রাসায়নিক বস্তুর কারণে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। জাফারি জানান, বিস্ফোরণ নিয়ে অনেক গুজব ছড়ানো হচ্ছে। সেগুলোতে বিশ্বাস না করে সরকারি তথ্যের জন্য সবাইকে অপেক্ষার আহ্বান জানিয়েছেন এ কর্মকর্তা। 

 

তিনি বলেন, বিষাক্ত ধোঁয়ার কারণে সেখানে উদ্ধার অভিযান ব্যাহত হচ্ছে। আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসার পর প্রকৃত হতাহতের তথ্য জানা যাবে। তিনি জানান, বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই শক্তিশালী ছিল যে, এটি প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূর থেকেও তা অনুভূত হয়েছে।

 

সরকারি বার্তাসংস্থা ফার্স নিউজ জানিয়েছে, ছোট একটি আগুন থেকে সবকিছুর সূত্রপাত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আগুনটি দ্রুত সময়ের মধ্যে অন্যান্য জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে। যেটির প্রভাবে বিশাল বিস্ফোরণ হয়। সেখানকার আবহাওয়া অত্যাধিক গরম এবং দাহ্য প্রদার্থ থাকায় বিস্ফোরণের তীব্রতা বেশি ছিল বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।

 

ইরানি বার্তাসংস্থা ইরনা দেশটির সরকারি সূত্রের বরাতে জানিয়েছে, এটি ইরানের সবচেয়ে আধুনিক সামুদ্রিক বন্দর, যা হরমুজগানের প্রাদেশিক রাজধানী বন্দর আব্বাস থেকে ২৩ কিলোমিটার পূর্বে এবং হরমুজ প্রণালির উত্তর দিকে অবস্থিত। যেখান দিয়ে পৃথিবীর মোট উত্পাদিত তেলের পাঁচ ভাগের এক ভাগ পরিবহন করা হয়। 

 

এদিকে, ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। এছাড়া তিনি দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে ঘটনাস্থল পরিদর্শনের নির্দেশ দিয়েছেন।