জামায়াতের সঙ্গে জোটে এনসিপি-এলডিপি
অবশেষে জামায়াতে ইসলামীর সাথে নির্বাচনী সমঝোতায় যোগ দিলো জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি)। জামায়াতের এই জোট মোট ১০টি দল নিয়ে গঠিত হচ্ছে। রোববার (২৮ ডিসেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে এমনটা জানান জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান।
তিনি বলেন, বাংলাদেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নেয়ার জন্য একটি শোষণ বৈষম্যহীন, দুর্নীতিমুক্ত এবং মানবিক বাংলাদেশ গড়তে আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ। আজকে আরও দুটি দল আমাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। কর্ণেল অলি আহমেদের নেতৃত্বে এলডিপি এবং এনসিপি জোটে যুক্ত হয়েছে। কিছুক্ষণ আগে এনসিপির সঙ্গে আমাদের বৈঠক হয়েছে। নাহিদ ইসলাম সরাসরি আমাদের সাথে কথা বলেছেন । তিনি তাদের সিদ্ধান্ত আমাদেরকে জানিয়েছেন। তারা সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে দলীয় সিদ্ধান্ত সবাইকে জানিয়ে দেবেন।
জামায়াতের আমির বলেন, এটি আমাদের একটি মজবুত নির্বাচনী সমঝোতা। ৩০০ আসনে বসে নিজেদের মধ্যে আলাপ আলোচনার মধ্য দিয়ে আমাদের মধ্যে বিভিন্ন আসন নির্ধারণ করেছি। দুইটি দল শেষ পর্যায়ে এসে আমাদের সাথে মিলিত হয়েছে। আসন সমঝোতা প্রায় সম্পন্ন হয়ে গেছে। আসন সমঝোতা সামান্য বাকি আছে, তা পরবর্তীতে জানিয়ে দেয়া হবে৷
তিনি জানান, এই বিপ্লব ২৪ এ এসে পরিপূর্ণতা পেয়েছে। তবে তা শুরু হয়েছে ২০০৮ সালে। পিলখানা হত্যাকাণ্ডের পর থেকে সবার ওপর নিপীড়ন হয়েছে। জাতি দীর্ঘস্থায়ী মুক্তিতে যেতে চায়। যুব সমাজের প্রত্যাশা পূরণ আমাদের দায়িত্ব।
বলেন, নির্বাচনের আর দেড় মাসের মতো সময় আছে। নির্বাচন সুষ্ঠু করতে সরকারকে সর্বাত্মক সহযোগীতা করবো। আমরা আশা করছি সরকার এবং ইসি সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করবেন। আমরা প্রত্যাশা করি সরকার সাংবিধানিকভাবে সব আয়োজন করবে। এই ঐক্য জাতীয় ঐক্য। সবাই মিলে সুঠু নির্বাচন আদায় করতে চাই।
তিনি আরও বলেন, এটাকে জোট বলুন আর না বলুন এটি জোটের চেয়েও মজবুত কিছু। অল্প কিছু ব্যাপার বাকি আছে শীঘ্রই জানানো হবে। এটা নির্বাচন, রাজনৈতিক এবং দেশ গঠনের জোট। জোটে মোট ১০টি দল হয়ে গেছে এটি ১০ দলীয় নির্বাচনী সমযোতা। একক দল আসন বণ্টন করবে না ন্যায্যতার ভিত্তিতে আসন হবে।
