নুরাল পাগলার দরবারে সহিংসতা-নিহতের ঘটনায় এখনও হয়নি মামলা

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে নুরাল পাগলা দরবারে সহিংসতা ও একজন নিহতের ঘটনায় এখনও কোনও মামলা হয়নি। তবে সহিংসতার জেরে ওই এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
নিহত ব্যক্তির নাম মো. রাসেল মোল্লা (২৮)। এ ঘটনায় আরও অন্তত অর্ধশতাধিক মানুষ আহতের খবর পাওয়া যায়।
শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) সরেজমিন দেখা গেছে, সকাল থেকেই দরবার শরীফ এলাকায় টহল দিচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ভিড় জমাচ্ছেন উৎসুক জনতা।
এদিকে, গতকাল হামলা-ভাঙচুর ও একজন নিহতের ঘটনায় মামলা না হলেও পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে। রাতে গোয়ালন্দ ঘাট থানায় এসআই সেলিম বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করে।
থানা পুলিশ সূত্র জানায়, শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর ‘ইমান আকিদা রক্ষা কমিটি’র ব্যানারে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ফকীর মহিউদ্দিন আনসার ক্লাবে বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়। বিক্ষোভ সভায় বক্তব্য শেষে বিক্ষুব্ধ জনতা দরবারের দিকে যেতে চাইলে স্থানীয় প্রশাসন ও থানা পুলিশ তাদের ঠেকানোর চেষ্টা করে।
এ সময় বিক্ষুব্ধ জনতা গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সরকারী গাড়ি, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসির গাড়ি ভাঙচুর করে। সেইসঙ্গে ৫ পুলিশ সদস্য ও স্থানীয় প্রশাসনের দুইজনকে পিটিয়ে ও ঢিল ছুঁড়ে আহত করে। এরপর বিক্ষুব্ধ জনতা করে নুরাল পাগলের বাড়ি ও দরবারের গেট ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করে ভবন ও দরবার শরীফ ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। এক পর্যায়ে তৌহিদী জনতা নুরুল হক ওরফে নুরাল পাগালের মরদেহ কবর থেকে তুলে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের পদ্মার মোড় এলাকায় নিয়ে পুড়িয়ে দেয়।
গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাকিবুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বিভিন্ন ভিডিও ফুটেজ ও অন্যান্য তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ করে ঘটনায় জড়িত আসামিদের গ্রেফতার করা হবে।
উল্লেখ্য, গতকাল জুমার নামাজের পর তৌহিদী জনতার ব্যানারে নুরাল পাগলা দরবার শরীফে হামলা-ভাঙচুর চালানো হয়। কবর থেকে মরদেহ তুলে পুড়িয়ে দেয় বিক্ষুব্ধরা।