ঢাকা বুধবার, ৩১শে ডিসেম্বর ২০২৫, ১৮ই পৌষ ১৪৩২


তাইওয়ানকে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন করার প্রস্ততি নিতেই চীনের 'জাস্টিস মিশন'


৩১ ডিসেম্বর ২০২৫ ১০:১৪

সংগৃহীত

সাম্প্রতিক সময়ে সবচেয়ে বড় এবং কার্যকর সামরিক মহড়া, চীনের 'জাস্টিস মিশন'। বহুল আলোচিত এই যুদ্ধপ্রশিক্ষণকে ঘিরে বিশ্ব রাজনীতিতে চলছে তোলপাড়।

 

দক্ষিণ চীন সাগর অঞ্চলে বেইজিংয়ের এরআগে মহড়া হলেও সেগুলোর তুলনায় জাস্টিস মিশনকে একেবারেই ভিন্ন বলছে বিশ্লেষকরা। তাদের মত, তাইওয়ানকে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন করার প্রস্ততি নিতেই এই যুদ্ধ প্রশিক্ষণ। 

 

তাইওয়ানকে নিজস্ব ভূখণ্ডের অংশ হিসেবে বরাবরই হিসেব করে আসছে চীন। এমনকি, চাইলে দ্বীপটিকে পুরো বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ার মতো হুঁশিয়ারিও বারবার দিয়ে গেছে বেইজিং। এক্ষেত্রে বিচ্ছিন্নতাবাদী হোক কিংবা বিদেশি শক্তির হস্তক্ষেপ, কোনোকিছুই দমন করতে পারবেনা চীনকে। 

 

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লিন জিয়ান বলেন, 'আমাদের সেনাবাহিনী যেকোনো সময় অভিযান পরিচালনার জন্য শক্তিশালীভাবে সক্ষম। এরকম প্রশিক্ষণ সরাসরি যুদ্ধে অংশ নেওয়ার মতো সেনা দক্ষতাকে তুলে ধরে। লাইভ ফায়ার ড্রিলের মধ্য দিয়ে তাইওয়ানের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের চীনের ক্ষমতা সম্পর্কে একটি সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে।' 

 

তাইওয়ান প্রণালীতে দু'দিনব্যাপী "জাস্টিস মিশন ২০২৫'' এর লক্ষ্য ছিলো- তাইওয়ানের গুরুত্বপূর্ণ বন্দরগুলো অবরোধ, বিশাল সমরাস্ত্র ও রনকৌশল প্রদর্শন ও বিদেশী হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে সতর্কতা জারি করা। নিজেদের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সরাসরি যুদ্ধে অংশ নেওয়ার মতো শক্তিশালী ইঙ্গিতও দিয়েছে বেইজিং।