ঢাকা বৃহঃস্পতিবার, ১৫ই মে ২০২৫, ১লা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২


যা হয়েছে আজকের সংলাপে


৭ নভেম্বর ২০১৮ ২১:২৯

ফাইল ফটো

‘এ পর্যন্ত হলো প্রায় তিন ঘণ্টা। এই সংলাপ দ্বিতীয় দফা সংলাপ জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে। ঐক্যফ্রন্টের দলনেতা ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে তারা এসেছেন এবং আলোচনা হয়েছে। তারাও মন খুলে আলোচনা করেছেন, আমরাও করেছি। তবে আজকে তারা যে দাবিগুলো নিয়ে এসেছেন, আজকে তাদের যে ইমিডিয়েট মানে… নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই তারা কিছু বিষয়ে নিশ্চয়তা চান বা কিছু বিষয়ে ঐকমত্য চান। এর মধ্যে মূল কথা হচ্ছে, তারা আসলে সংবিধানে… সংবিধানসম্মতভাবে ২৮ জানুয়ারি থেকে এদিকে যে ৯০ দিন, সংসদ যেদিন বসছে, যে সংসদ বিদায়ী সংসদ, সেদিন থেকে যে সংসদ পাঁচ বছর… এর আগের তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন সম্পন্ন করতে হবে—এটা হচ্ছে সংবিধান। কিন্তু তাঁরা চাইছেন যে, সংসদ ভেঙে দিয়ে পরবর্তী ৯০ দিনে নির্বাচন করার জন্য। এটা হচ্ছে মূল কথা…।’

জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে বুধবার (৭ নভেম্বর) প্রধানমন্ত্রী ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মধ্যে দ্বিতীয় দফা সংলাপ থেকে বেরিয়ে গণভবনেই আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের সঙ্গে এসব কথা বলেন। বেলা ১১টা থেকে এই সংলাপ শুরু হয়, শেষ হয় দুপুর ২টার কিছু পরে। বৈঠকটি রুদ্ধদ্বার হয়।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘এ ছাড়া লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড, বিদেশি পর্যবেক্ষক, তারপরে রাজবন্দিদের মুক্তি এসব বিষয়ে আমাদের নেত্রী, আমাদের দলনেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তিনি বলেছেন যে, এসব দাবি মেনে নিতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। তফসিল ঘোষণার পর এগুলো নির্বাচন কমিশনই করবে। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের ব্যাপারেও আমরা সম্মত। আমাদের মন্ত্রীরা নিজের এলাকায়… পতাকা ব্যবহার করবেন না, জাতীয় পতাকা, সরকারি সুযোগ-সুবিধা নেবেন না, সার্কিট হাউস ব্যবহার করবেন না, সরকারি গাড়ি ব্যবহার করবেন না, কোনো প্রকার সরকারি ফেসিলিটিজ আমরা এনজয় করব না।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এমপিদেরও কোনো ক্ষমতা থাকবে না। তাঁরাও সেই অন্যান্য… যদি ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থিতা দেয় তাদের প্রার্থীরা বা অন্য প্রার্থীরা যে সুযোগ-সুবিধা পাবেন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীরা বা মহাজোটের প্রার্থীরা একই সুবিধা এনজয় করবেন। এর অতিরিক্ত কিছু হবে না এবং ইলেকশন কমিশন বিষয়টি দেখবে।’

ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের মধ্যে ছিলেন ড. কামাল হোসেন, জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফা মোহসীন মন্টু, গণফোরামের কার্যকরী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, নাগরিক ঐক্যের নেতা এস এম আকরাম, জেএসডি সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতন ও ডাকসুর সাবেক ভিপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ।

অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ১৪ দলের প্রতিনিধিদলে ছিলেন—আওয়ামী লীগ নেতা ওবায়দুল কাদের, আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, মোহাম্মদ নাসিম, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, অ্যাডভোকেট আনিসুল হক, ডা. দীপু মনি, অ্যাডভোকেট শ ম রেজাউল করিম, জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন।

এর আগে গত ১ নভেম্বর শেখ হাসিনা নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের ২৩ সদস্যের প্রতিনিধিদল গণভবনে ড. কামাল হোসেন নেতৃত্বাধীন ২০ সদস্যের জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সংলাপে বসে। সেদিন সংলাপ শেষে ঐক্যফ্রন্ট নেতারা অভিযোগ করেন, তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সামনে তাঁদের সাত দফা দাবি উত্থাপন করলেও সভা-সমাবেশ নিয়ে কিছু ভালো কথা শোনা ছাড়া সুনির্দিষ্ট কোনো সমাধান পাননি।