ঢাকা বৃহঃস্পতিবার, ১৫ই মে ২০২৫, ১লা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২


৮ নভেম্বরই তফসিল বহাল চায় জাপা


৭ নভেম্বর ২০১৮ ১৯:২২

ফাইল ফটো

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত ৮ নভেম্বর তফসিল ঘোষণা বহাল রাখার দাবি জানিয়েছে জাতীয় পার্টি। বুধবার (৭ নভেম্বর) বেলা সোয়া ১১টায় নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদার।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদার সঙ্গে বৈঠক করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ও তার নেতৃত্বাধীন সম্মিলিত জাতীয় জোটের শীর্ষ নেতারা।

এ. বি. এম. রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, ‘আমাদের দলের চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সঙ্গে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদাসহ ইসির অন্যান্য চার কর্মকর্তার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে। তারা আমাদের সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন।’

জাপা মহাসচিব জানান, সম্মিলিত জোটের পক্ষে তারা ৮টি দফা নিয়ে ইসির সঙ্গে আলোচনা করেছেন। পরে তিনি গণমাধ্যমে তাদের দাবিগুলো জানান। দাবিগুলো হলো :

১. নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা ৮ই নভেম্বর তারিখে করতে হবে।
২. আজকের পর থেকে আর কোনো সংলাপ হবে না। সুতরাং সংলাপের অজুহাত দিয়ে কমিশনের তারিখ পেছানোর দাবির পক্ষে কোনো যুক্তি থাকতে পারে না।
৩. নির্বাচন মনোনয়ন আবেদন পূর্বের তুলনায় সহজতর করতে হবে। নির্বাচন কালো টাকার প্রভাবমুক্ত করার ব্যবস্থা করতে হবে।
৪. নির্বাচনের সময় যেন কোনোভাবে অস্ত্রের ব্যবহার না হতে পারে সেই ব্যবস্থা করতে হবে। কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। নির্বাচনী প্রচারকালে কোনো রকম সংঘাত বা সহিংসতা এড়ানোর ব্যবস্থা নিতে হবে।
৫. মোটরসাইকেল বা গাড়িবহরের ব্যবস্থা সীমিত রাখার ব্যবস্থা নিতে হবে। পোস্টার ব্যবহারের ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের কাছ থেকে একক পোস্টার দেওয়া বিষয়টি বিবেচনা করতে হবে।
৬. নির্বাচনকালে সেনাবাহিনীকে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে রাখতে হবে।
৭. নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের ক্ষেত্রে দ্বিধা-সন্দেহ রয়েছে, এটি পরীক্ষা নিরীক্ষা করতে হবে। ব্যবহার করতে বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জনে সময়ের প্রয়োজন হবে।
৮. সর্বোপরি নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে হবে। এবং নিশ্চয়তা দিতে হবে তারা একটি স্বাধীন, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত করবেন এবং সংবিধান মোতাবেক নির্বাচন করতে হবে।

বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য- ব্যারিস্টার এম এ সাত্তার, জিয়াউদ্দিন আহদেন বাবলু, প্রফেসর দেলোয়ার হোসেন, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, শাহেদুর রহমান টেপা, মুজিবুল হক চুন্নু, সুনীল শুভ রায়, এস এম ফয়সাল চিশতী, আব্দুস সবুর আসুদ, মশিউর রহমান রাঙা, শফিকুল ইসলাম সেন্টু।

সম্মিলিত জোটগুলো থেকে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক এম এ মোমেন, বাংলাদেশ খেলাফতে মজলিশের মহাসচিব মাওলানা জালাল আহমেদ ও মাওলানা মাহফুজুল হক, জাতীয় ইসলামী মহাজোটের চেয়ারম্যান আলহাজ আবু নাসের ওয়াহেদ ফারুক এবং বিএনএ’র চেয়ারম্যান সেকেন্দার আলী মনি।