ঢাকা মঙ্গলবার, ১৩ই মে ২০২৫, ৩১শে বৈশাখ ১৪৩২


হঠাৎ বিএনপিতে উত্তেজনা


৩ অক্টোবর ২০১৮ ০৫:২৮

নির্বাচিনের আগে বিএনপির শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে নতুন করে মামলা নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে নানা প্রশ্ন ওঠেছে। দলটি থেকে বলা হয়েছে, নির্বাচন থেকে দূরে রাখতেই নেতাদের বিরুদ্ধে গায়েবি মামলা দেয়া হয়েছে। অন্যদিকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বিএনপিকে নির্বাচনমুখী করতেই এ ধরনের ব্যবস্থা। বিএনপি যেন নির্বাচনে না এসে আন্দোলন বা নাশকতার পথ বেছে না নেয় সেজন্যই মামালার জালে জড়ানো হচ্ছে।

সোমবার বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপির ৫৫ নেতা কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। উস্কানিমূলক বক্তব্য এবং নাশকতার অভিযোগে করা মামলায় বিএনপি মহাসচিব ছাড়াও আসামি হয়েছেন মওদুদ আহমেদ, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদের মতো শীর্ষ নেতারা। এদের মধ্যে আমীর খসরু মাহমুদ দেশেই নেই। স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, লে. জেনারেল (অব.) মাহাবুবুর রহমান, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া এবং তরিকুল ইসলাম ছাড়া স্থায়ী কমিটির সব সদস্যকেই নাশকতার মামলায় আসামি করা হয়েছে। মামলা করা হলেও, বিএনপির শীর্ষ নেতা কাউকেই আটক করা হয়নি।

গ্রেপ্তার করার কোনো তৎপরতা নেই আইন প্রয়োগকারী সংস্থার। শীর্ষ নেতাদের গ্রেপ্তার করা না হলেও, মধ্যস্তরের নেতা এবং মাঠ পর্যায়ের কর্মীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। সরকারের একাধিক দায়িত্বশীল সূত্রের প্রাপ্ত খবরে জানা গেছে, ১০ অক্টোবরকে সামনে রেখেই মামলার জালে জড়ানো হচ্ছে বিএনপিকে। সরকারের কাছে খবর আছে, ১০ অক্টোবর গ্রেনেড হামলা মামলার রায়ের দিন, এই রায়ের আগে বিএনপি-জামাত ঢাকায় বড় ধরনের নাশকতা সৃষ্টির পরিকল্পনা করেছে।

গোয়েন্দা সূত্রের খবর অনুযায়ী, ১০ অক্টোবর বিএনপি-জামাত ঢাকা দখল করার কর্মসূচি নিয়ে কাজ করছে। ঐ দিন নেতা-কর্মীদের ঢাকার রাজপথে অবস্থান নিতে বার্তা দেওয়া হয়েছে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সূত্রে বলা হয়েছে, এরকম পরিস্থিতি যেন বিএনপি-জামাত সৃষ্টি করতে না পারে সেজন্যই আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

এসএ