ঢাকা সোমবার, ১২ই মে ২০২৫, ২৯শে বৈশাখ ১৪৩২


একদিন পেছালো বিএনপির কর্মসূচি


২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ২৩:৩০

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি’র উদ্যোগে আগামী বৃহস্পতিবারের (২৭ সেপ্টেম্বর) কর্মসূচি একদিন পিছিয়েছে দেওয়া হয়েছে। আগামী (২৯ সেপ্টেম্বর) শনিবার বেলা ২টায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ।

তিনি বলেন, বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীকে জনসভা সফল করার জন্য আহবান জানানো হলো। মঙ্গলবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরের রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন তিনি এসব কথা বলেন।

সংবাদ সম্মেলন রিজভী বলেন, অসুস্থ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া চরম স্বাস্থ্যঝুঁকিতে। তাঁকে যখন অন্যায়ভাবে সাজা দিয়ে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয় তখন পূর্বের চিকিৎসাধীন নিয়ন্ত্রণে থাকা রোগগুলি ছাড়া অসুস্থ ছিলেন না। তাহলে এই পরিস্থিতি হলো কেন ? কর্তৃপক্ষের অবহেলা, হয়রানী, অস্বাস্থ্যকর স্যাঁতসেতে বদ্ধ পরিবেশের মধ্যে তাঁকে দিনযাপন করতে হচ্ছে, যা একটি চরম নির্যাতন। এই নির্যাতন সহ্য করতে যেয়ে তাঁর পূর্বের অসুস্থতা এখন আরও গুরুতর রুপ ধারণ করেছে। কর্তৃপক্ষ তাঁকে সুচিকিৎসা হতে বঞ্চিত করেছে। তাঁকে বিশেষায়িত হাসপাতালের সুবিধা ও ব্যক্তিগত বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের দ্বারা নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা থেকেও বঞ্চিত করেছে।

তিনি বলেন, বিএনপি ও পরিবার থেকে বারবার ব্যক্তিগত চিকিৎসকদের সমন্বয়ে মেডিকেল বোর্ড গঠনের দাবিকেও অনাগ্রাহ্য করা হয়েছে। সরকারী দলের সমর্থক এবং আওয়ামী রাজনীতিতে সক্রিয় বিএসএমএমইউ’র চিকিৎসকদের দিয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ডও দেশনেত্রীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার পরে স্ববিরোধী বক্তব্য রেখেছেন।

একদিকে তারা বলেছেন-“বেগম খালেদা জিয়ার অসুস্থতা গুরুতর নয়, আবার বলেছেন, তাঁর আর্থারাইটিসের ব্যথা, ফ্রোজেন শোল্ডার, হাত নড়াচড়া করতে পারেন না। সার্ভাইক্যাল স্পন্ডিলোসিস এর জন্য কাঁধে প্রচন্ড ব্যথা, এই ব্যথা হাত পর্যন্ত রেডিয়েট করে। হিপ-জয়েন্টেও ব্যথার মাত্রা প্রচন্ড। ফলে শরীর অনেক অসুস্থ, তিনি পা তুলে ঠিক মতো হাঁটতেও পারেন না। বিএসএমএমইউ অথবা বিশেষায়িত হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে।”

সরকারী মেডিকেল বোর্ডের বক্তব্য অনুযায়ী বেগম জিয়া গুরুতর রোগে অসুস্থ নন, তাহলে তারা কেন হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দিলেন ?

তিনি আরও বলেন, বেগম জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে যেন এক প্যারাডক্স তৈরী করা হচ্ছে। এদিকে মেডিকেল বোর্ড তাঁকে হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দিয়েছে, অথচ আদালতে তাঁর অনুপস্থিতিতে বিচারিক কার্যক্রম চলছে। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষে তাঁর আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া মামলার কার্যক্রম মূলতবি চেয়ে আবেদন করেন। খালেদা জিয়ার অসুস্থতার কথা বিবেচনায় নিয়ে মামলার কার্যক্রম মূলতবি করার জন্য আবেদন নামঞ্জুর করা হয়।

বিএনপির এই মূখ্য পাত্র আরও বলেন, অসুস্থ বন্দী সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত তার অনুপস্থিতে বিচারিক কার্যক্রম বেআইনী। আমি দলের পক্ষ থেকে আবারও দৃঢ়কন্ঠে বলতে চাই-দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসাসহ এই মূহুর্তে নি:শর্ত মুক্তি দিতে হবে।

আইএমটি