ঘূর্ণিঝড় ফণী ৯৬০ কিলোমিটার দূরে, বাংলাদেশে আঘাত হানবে ৪ মে

গত ৪৩ বছরে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়গুলোর মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ এখন বাংলাদেশের উপকূল থেকে মাত্র ৯৬০ কিলোমিটার দূরে বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। এ অবস্থায় বাংলাদেশের বন্দরগুলোকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত বহাল রেখেছে আবহাওয়া অধিদফতর।
‘ফণী’শনিবার (৪ মে) নাগাদ বাংলাদেশে আঘাত হানতে পারে বলে বাংলাদেশের আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২ মে) সকালে আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে (ক্রমিক নম্বর-২৭) জানানো হয়েছে, পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও কাছাকাছি এলাকায় অবস্থানরত অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ সামান্য উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ১১০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৯৬০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৯৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও ঘণীভূত হয়ে উত্তর বা উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হতে পারে।
আবহাওয়াবিদরা জানান, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৬০ কিলোমিটার, যা দমকা বা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ১৮০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটে সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে।
তারা আরও জানান, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে, যাতে স্বল্প সময়ের নোটিশে তারা নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে পারে। সেই সঙ্গে তাদের গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।
ভারতের আবহাওয়া অধিদফতর বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি আগামী ৩ মে বিকেল নাগাদ ভারতের ওড়িষ্যার গোপালপুর ও চাঁদবালি উপকূল এবং পুরির দক্ষিণাঞ্চল অতিক্রম করতে পারে। তখন ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৭০ থেকে ১৮০ কিলোমিটার, যা দমকা বা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ২০০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে।
দেশের তাপমাত্রা আজও কিছুটা কমবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতর। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে শুক্রবার থেকে বৃষ্টি হতে পারে। এতে জনজীবনে স্বস্তি ফিরবে।
বুধবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল যশোরে ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
নতুনসময়/এনএইচ