ঢাকা মঙ্গলবার, ১৩ই মে ২০২৫, ৩১শে বৈশাখ ১৪৩২


গান্ধীর অহিংস আদর্শ বিশ্ব সম্প্রদায়ের দৃষ্টি কেড়েছে


২ অক্টোবর ২০১৮ ০৯:৪৭

শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেছেন, মহাত্মা গান্ধীর অহিংস আদর্শ শুধু ভারত বর্ষ নয় বিশ্ব সম্প্রদায়ের দৃষ্টি কেড়েছে। ২ অক্টোবর গান্ধীজীর জন্মদিনে আন্তর্জাতিক অহিংস দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছে এবং জাতিসংঘের সদস্য প্রতিটি দেশ সসম্মানে দিবস পালন করে আসছে।

সোমবার (১ অক্টোবর) বিকাল ৫ টায় সিরডাপ মিলনায়তনে বাংলাদেশ-ভারত বন্ধুত্ব সমাজ স্মরণে ভারতের জাতির পিতা মহাত্মা গান্ধীর ১৫০তম জন্মবার্ষিকী ও বিশ্ব শান্তি উপলক্ষে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, মহাত্মা গান্ধী ধর্মনিরপেক্ষতায় বিশ্বাসী ছিলেন তিনি কাউকে কষ্ট দেওয়া তো দূরের কথা বৈষম্য তৈরি করতেন না। যার আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার ধর্ম নিরপেক্ষতা কে সামনে রেখে বাঙালি জাতিকে একত্র করেছিলেন।

আমু বলেন ভারতের জাতির পিতা মহাত্মা গান্ধী ক্ষুদ্র রাজনৈতিক স্বার্থে কখনো কোন সিদ্ধান্ত নিতেন না। তিনি বিশাল হৃদয়, চিন্তার অধিকারী ও রাজনীতি ব্যক্তিত্ব ছিলেন। তিনি ধর্মনিরপেক্ষতায় ভোটব্যাংকে বিশ্বাসী ছিলেন না।

তিনি আরো বলেন মহাত্মা গান্ধীর সমস্ত পড়েছি পরিস্থিতিতেই অহিংস মতবাদ এবং সত্যের ব্যাপারে অটল থেকেছেন এবং অতি সাধারণ জীবন যাপন করতেন। একবার তিনি হরতাল ডাকলে সেখানে সহিংসতা হওয়ায় তিনি আর কখনো হরতাল দেন নি।

ভারতীয় হাইকমিশনের পলিটিক‍্যাল সেক্রেটারি নভনিতা চক্রবর্তী বলেন, মহাত্মা গান্ধীর বাংলাদেশের সাথে গভীর সম্পর্ক ছিল। তিনি শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য বাংলাদেশের নোয়াখালী অবস্থান করেছেন বেশ কিছুদিন।

মহাত্মা গান্ধীর স্মরনে নোয়াখালী জেলায় ভারতীয় হাই কমিশনের পক্ষ থেকে একটি মহাত্মা গান্ধী ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করতে চাই। তার মাধ্যমে আমরা দুস্থদের সাহায্য সহযোগিতা করব।

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশিষ্ট সাংবাদিক ও লেখক আবুল মাকসুদ। বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সমিতির সভাপতি ডঃ একে আজাদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, বিএআইআরএ চেয়ারম্যান বেনজীর আহমেদ, মৈত্রী সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুবীর কুশারী সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ অংশগ্রহণ করেন।

এসএ