ছেলে কুচক্রী মহলের শিকার: প্যানেল মেয়র

ইয়াবাসহ পুলিশের হাতে ছেলের গ্রেফতার হওয়ার ঘটনাকে কুচক্রী মহলের ষড়যন্ত্র বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র মো. জামাল মোস্তফা।
তিনি বলেছেন, বাংলাদেশে মাদকের বিস্তারের শুরু থেকেই আমি সবসময় মাদকের বিরুদ্ধে সোচ্চার রয়েছি। নানা ধরনের হুমকি ধমকির শিকারও হতে হয়েছে। আমি কুচক্রীমহলের শিকারে পরিণত হয়েছি।
শনিবার ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের নগর ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্যানেল মেয়র একথা বলেন।
মোস্তফা বলেন, গত ২৬ সেপ্টেম্বর রাত ৮টার দিকে আমার বড় ছেলে রফিকুল ইসলাম রুবেলকে তার বন্ধু পরিচয় দিয়ে কে বা কারা ফোনে ডেকে নেয়। পল্লবী থানা পুলিশ আমার ছেলে ও আরও ২ জনকে আটক করে নিয়ে যায়। সে বাড়ি থেকে তাদেরকে আটক করে ঐ বাড়িটি মিরপুর থানাধীন এবং বাড়িটি একজন অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তার। আটককৃতদের মধ্যে একজন ঐ অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তার ছেলে। তাছাড়া ১জন মহিলাও আটককৃতদের মধ্যে রয়েছে। বিষয়টি জানতে পেরে আমি পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে ফোন করি। পরবর্তীতে থানায় গেলে আমাকে জানানো হয়, আটককৃতরা মাদকের সঙ্গে যুক্ত। আমার ছেলেকে ছেড়ে দিতে তিনি অস্বীকৃতি জানান। অবশেষে ২৭ সেপ্টেম্বর আটককৃতদের সবাইকে কোর্টে চালান দেওয়া হয়।
তিনি আরও বলেন, ২৮ সেপ্টেম্বর বিভিন্ন গণমাধ্যমে এই ঘটনাকে কেন্দ্রকরে বিভ্রান্তিমূলক খবর প্রকামিত হয়। সেখানে পুলিশের বরাত দিয়ে আমার ছেলেকে তালিকাভূক্ত মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে উল্লেখ করা হয়। তাছাড়া আটককৃত মহিলাকে আমার ছেলের স্ত্রী হিসাবে উল্লেখ করা হয়। এছাড়া আরও কিছু বিভ্রান্তমূলক তথ্য পরিবেশন করা হয়। যা মিথ্যা।
প্যানেল মেয়র বলেন, আমি বলতে চাই, আমার সন্তান কোনো মাদক ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ছিলনা। আটককৃত মহিলা আমার ছেলের স্ত্রী নয়। আমি কুচক্রীমহল ষড়যন্ত্র করে এটা ঘটিয়েছে। এছাড়া পুলিশের দায়ের করা মামলায় বলা হয়েছে ২৭ সেপ্টেম্বর ভোর ৫টা ৫৫ মিনিটে আমার ছেলেকে আটক করা হয়। কিন্তু আটক করেছে আগের দিন আনুমানিক রাত ৮টায়। আটকের স্থান হিসেবে দেখানো হয়েছে পল্লবী থানার অধীন। অথচ জায়গাটি মীরপুর থানার অধীন। সময় ও স্থান দুটিতেই অসামঞ্জস্য রযেছে। এতে বোঝা যায় বিষয়টি সম্পূর্ণ ষড়যন্ত্রমূলক।
এসময় তার পাশে উপস্থিত ছিরেন স্ত্রী রোকেয়া জামান ও পুত্রবধু নাহিদা সুলতানা পলি।
একেএ