ঢাকা মঙ্গলবার, ১৩ই মে ২০২৫, ৩১শে বৈশাখ ১৪৩২


৬-৮ মাস পর হয়তো তিনি লাশ হয়ে বের হবেন: খালেদার আইনজীবী


১৩ ডিসেম্বর ২০১৯ ০০:১৩

ছবি সংগৃহীত

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ৬ বা ৮ মাস পর হয়তো লাশ হয়ে বের হবেন বলে আদালতকে জানিয়েছেন তার জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন। সকালে সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগে এ বিষয়ে শুনানি শুরু হওয়ার পর আদালতকে এ কথা জানান তিনি। তিনি আদালতকে আরও জানান, খালেদা জিয়া পঙ্গু হওয়ার পথে রয়েছেন। খালেদা জিয়ার সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দেয়া প্রতিবেদনটিকে ভুয়া বলেও আখ্যায়িত করেন জয়নুল আবেদীন।

বৃহস্পতিবার ১০টা ৮ মিনিটে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগে এ শুনানি শুরু হয়। সকাল ১০টা ১০ মিনিট রেজিস্টার জেনারেল আলী আকবর বিএসএমএমইউয়ের প্রতিবেদন আদালতে জমা দেন। এরপর ১০টা ২০ মিনিট থেকে শুনানি শুরু হয়। এর আগে বিচারকরা মেডিকেলের রিপোর্টটি দেখেন। জয়নুল আবেদীন শুনানিতে আরও বলেন, বেগম খালেদা জিয়া কারাগারে ভালো মানুষ গিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি আজ পঙ্গু হওয়ার পথে। তিনি হাত-পা নড়াতে পারছেন না। চিকিৎসা এতো উন্নত হচ্ছে যে দিন দিন তিনি পঙ্গু হয়ে যাচ্ছেন। ৬/৮ মাস পর হয় তো তিনি লাশ হয়ে বের হবেন। আদালতে খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, খন্দকার মাহবুব হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, নিতাই রায় চৌধুরী, এএম মাহবুব উদ্দিন খোকন, একেএম এহসানুর রহমান প্রমুখ। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

উল্লেখ্য, গত ৫ ডিসেম্বর খালেদা জিয়ার জামিন শুনানিতে তার স্বাস্থ্য প্রতিবেদন দাখিল না করা নিয়ে ব্যাপক হৈ চৈ করেন বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা। আজ অন্যান্য মামলার শুনানি চলাকালে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও খালেদা জিয়ার আইজনীবী খন্দকার মাহবুব হোসেনকে ডেকে প্রধান বিচারপতি বলেন, রাষ্ট্রপক্ষের ৩০ জন ও আসামিপক্ষের ৩০ জন করে মোট ৬০ জন আইনজীবীকে শুনানিতে আসতে। গত ২৮ নভেম্বর খালেদা জিয়ার জামিন বিষয়ে সিদ্ধান্ত হওয়ার কথা থাকলেও সেদিন তার সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা জানতে মেডিকেল বোর্ডের প্রতিবেদন চায় সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। ৫ ডিসেম্বরের মধ্যে তা আদালতে আসার কথা ছিল। তবে নির্ধারিত দিনে সেটি আদালতে না আসায় জিয়া দাতব্য ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদার জামিন প্রশ্নে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সিদ্ধান্ত এক সপ্তাহ পিছিয়ে যায়। প্রধান বিচারপতি সেদিন ১২ ডিসেম্বর শুনানির পরবর্তী তারিখ রেখে তার আগেই প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দেন। বুধবার (১১ ডিসেম্বর) বিকেলে অবশেষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) কর্তৃপক্ষের প্রতিবেদন সুপ্রিম কোর্টে পৌঁছায়।