উড়িষ্যায় ফণীর আঘাতে নিহত-৮

ভারতের উড়িষ্যায় শুক্রবার সকালে ফণী আঘাত হানার আগেই বৃহস্পতিবার থেকে দফায় দফায় ঝড়ো হাওয়া ও ভারী বৃষ্টিপাত হয়। এসময় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছিল প্রশাসন। এছাড়া ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছিল। তারপরও ভয়াবহ এই ঘূর্ণিঝড়ে আটজনের মৃত্যু হয়েছে।
শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় উড়িষ্যার উপকূলীয় এলাকায় আঘাত হানার পর বহু নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কাঁচা-পাকা ঘরবাড়ি। প্রশাসন জানিয়েছে, রাজ্যের ভুবনেশ্বর, কটক, জাজপুর, ভদ্রকে কয়েক হাজার গাছ উপড়ে গিয়ে সড়ক আটকে গেছে। এছাড়া মোবাইল টাওয়ার উপড়ে উড়িষ্যার বিস্তীর্ণ এলাকার সঙ্গে বাকি বিশ্বের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্স (এনডিআরএফ)-এর ডিআইজি রণদীপ রানা জানিয়েছেন, পর পর সামুদ্রিক ঝড় মোকাবিলায় উড়িষ্যা প্রশাসন এখন খুবই দক্ষ ও তৎপর। এ কারণেই এতো কম প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। ফণীর আঘাত হানার আশঙ্কায় ১০ হাজার গ্রামের প্রায় ১১ লাখ মানুষকে আগেই নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নেয়া হয়েছিল। এসব ব্যক্তিদের ৮৮০টি সাইক্লোন আশ্রয়কেন্দ্র ও তিন হাজার স্কুল-কলেজে এনে রাখা হয়।
এদিকে উড়িষ্যায় আঘাত হানার পর পশ্চিমবঙ্গের খড়গপুর, আরামবাগ, বর্ধমান, নদিয়া ও মুর্শিদাবাদে ছোবল দেয় ফণী। তবে ভারতীয় আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ শনিবার বাংলাদেশে আঘাত হানবে ফণী।
অন্যদিকে ফণীর ছোবল সামাল দিতে ৪৮ ঘণ্টা আগে থেকেই উঠেপড়ে লেগেছিল প্রশাসন। এমনকি দুর্যোগের পর ত্রাণ ও পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য ক্ষতিগ্রস্ত রাজ্যগুলোকে ইতোমধ্যেই আগাম এক হাজার কোটি রুপি বরাদ্দ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।’
নতুনসময়/আল-এম