ঢাকা বৃহঃস্পতিবার, ৪ঠা সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২১শে ভাদ্র ১৪৩২


১৫০ বছর বাঁচতে চান পুতিন-শি জিনপিং!


৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৮:২০

সংগৃহীত

তবে কি অমর হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন ভ্লাদিমির পুতিন ও শি জিনপিং? চীনের আলোচিত ‘ভিক্টরি ডে প্যারেড’ চলাকালে হেঁটে যাওয়ার সময় গল্প করতে দেখা যায় দুই নেতাকে। এসময়, অঙ্গ প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে আয়ুষ্কাল বাড়ানো নিয়ে আলোচনা করেছিলেন তারা। যা ধরা পড়েছে চীনের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন সিসিটিভির লাইভ সম্প্রচারে। পরে সাংবাদিকদেরও পুতিন নিশ্চিত করেন, অন্তত দেড়শ’ বছর বাঁচার উপায় নিয়ে কথা বলেছেন দুই নেতা। এসময় তাদের সঙ্গে ছিলেন উত্তর কোরিয়ান নেতা কিম জং উন-ও। খবর, দ্য মস্কো টাইমসের।

 

বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) তিয়েনয়ানমেন স্কয়ারে হাঁটতে দেখা যায় পুতিন-শি-কিম’কে। এসময় অনুবাদকদের সহায়তায় একে অপরের সঙ্গে কথা বলেন পুতিন ও শি।

 

সংবাদমাধ্যমের দাবি, এই দুই নেতার কথোপকথনের বিষয়বস্তু ছিলো অমরত্ব, অঙ্গ প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে মানবজীবনের আয়ুষ্কাল বাড়ানোর মতো ইস্যু। কিভাবে বয়স বাড়িয়ে দেড়শ বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকা যায় তা নিয়ে আলোচনা করেছেন তারা।

 

মাইক্রোফোনে ধরা পড়া কথোপকথনের অনুবাদ অনুযায়ী, শির অনুবাদককে রুশ ভাষায় বলতে শোনা যায়- শি বলেছেন, একসময় ৭০ বছরের বেশি বেঁচে থাকা বিরল হলেও এখন এই বয়সী অনেক মানুষকে শিশু হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে। জবাবে পুতিন দাবি করেন, বায়োটেকনোলজির অগ্রগতির ফলে ক্রমাগত মানব অঙ্গ প্রতিস্থাপন সম্ভব হলে মানুষ অমরত্ব লাভ করতে পারবে। শি’র দাবি, এই শতকেও মানুষের গড়ে দেড়শ বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।

 

আয়ুষ্কাল বাড়ানোর বিষয়ে শির সাথে যে আলোচনা হয়েছে এক সংবাদ সম্মেলনে সেটি স্বীকারও করেছেন পুতিন। তিনি বলেন, শি এ নিয়ে কথা বলেছিলেন যখন আমরা প্যারেডে যাচ্ছিলাম। হ্যাঁ, মি. বারলুসকোনি একসময় এই বিষয়ে বেশ সক্রিয় ছিলেন। আধুনিক স্বাস্থ্যসেবা, চিকিৎসা, এমনকি অঙ্গ প্রতিস্থাপন সংশ্লিষ্ট কিছু অস্ত্রোপচারও মানবজাতির মধ্যে এই আশার সঞ্চার করছে যে সক্রিয় জীবনকাল আজকের মতো থাকবে না। আশা করা যায় মানুষের আয়ুষ্কাল উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে।

 

তিনি আরও বলেন, জাতিসংঘের তথ্য অনুসারে, ২০৫০ সালের মধ্যে, ৫ বা ৬ বছর বয়সী শিশুদের তুলনায় ৬৫ ​​বছরের বেশি বয়সী মানুষের সংখ্যা বেশি হবে। এর সামাজিক, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক পরিণতি হবে। এবং আয়ুষ্কাল নিয়ে কথা বলার সময় আমাদের অবশ্যই এটি মনে রাখা উচিত।

 

উল্লেখ্য, ১৩ বছর ধরে চীন শাসন করছেন শি। অন্যদিকে, রাশিয়ার মসনদে পুতিন রয়েছেন ২৫ বছর যাবত। বিশ্লেষকরা বলছেন, বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধান যে এখন ক্ষমতা ধরে রাখার পাশাপাশি দীর্ঘদিন বেঁচে থাকার উপায় খুঁজছেন— এটি স্পষ্ট হয়েছে তাদের কথোপকথনে।