ঢাকা রবিবার, ১১ই মে ২০২৫, ২৯শে বৈশাখ ১৪৩২

যাত্রাবাড়ি থানার ওসি’র বিরুদ্ধে মামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ


৬ এপ্রিল ২০১৯ ০৬:০৫

যাত্রাবাড়ি থানার ওসি’র বিরুদ্ধে মামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ

যাত্রাবাড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কাজী ওয়াজেদ আলী’র বিরুদ্ধে এক নারীর দায়ের করা অপহরণ, ধর্ষণ এবং ধর্ষণে সহযোগিতার মামলার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ সমাবেশ এবং মানববন্ধন করেছেন স্থানীয়রা। শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৩ টায় যাত্রাবাড়ি চৌরাস্তায় আয়োজিত এই বিক্ষোভে পাশের এলাকা কদমতলী, শ্যামপুর, ওয়ারী, দনিয়া, ডেমরা থেকে মিছিল সহকারে কয়েকশ নারী-পুরুষ যোগ দেন।

সমাবেশে বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত বক্তারা বলেন, কাজী ওয়াজেদ ইতিপূর্বে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় ওসির দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি যেসব থানা এলাকায় কাজ করে এসেছেন, সেসব এলাকার মানুষ আজও তাকে শ্রদ্ধা আর ভালোবাসার সাথে স্মরণ করে। তার কথা মনে করে তাদের চোখে পানি আসে। কারণ তিনি তার থানা এলাকার প্রতিটি সাধারণ মানুষের অন্তরে ভাই-বাবা-সন্তান হিসাবে নিজের স্থান করে নিয়েছেন। যার প্রমাণ আজ আপনারা দেখছেন, এখানে উপস্থিত একটা মানুষকে কেউ ডেকে আনেনি। সবাই তাদের অন্তরের ভালোবাসা আর দায়বদ্ধতা থেকে ছুটে এসেছেন তার পাশে দাঁড়াতে। কাজী ওয়াজেদ কখনো অন্যায়-অবিচার, মাদক, জুয়া, সন্ত্রাসকে প্রশ্রয় দেননি। নীতিবান এই পুলিশ অফিসারের কাছে অনৈতিক স্বার্থ হাসিল করতে না পেরে একটি চিহ্নিত মাদক এবং দেহ ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট তার বিরুদ্ধে এই হয়রানি মূলক মিথ্যা মামলাটি করেছে। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই।

জুরাইন থেকে বিক্ষোভে আসা লেখক ও কলামিস্ট রিদওয়ান আবিদ চৌধুরী জয় বলেন, কাজী ওয়াজেদ শুধু একজন পুলিশ অফিসারই নন, তিনি আপাদমস্তক সাদা মনের এক নিরেট ভালো মানুষ। তিনি যখন কমদতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছিলেন তখন সন্ত্রাস এবং মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন। তার সততার কাছে হার মেনেছে সবাই। গতমাসে এক মাদক সম্র্রাজ্ঞী এবং দেহ ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হলে সেই মহিলাকে ছেড়ে দিতে একটি দালাল সিন্ডিকেট অনেক তদবির করে। ওসি সাহেব কোন তদবির না শুনে প্রচলিত আইনে এই মহিলার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। মহিলাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়। এতে ক্ষুব্দ হয়ে ঐ দালাল সিন্ডিকেট মাদক সম্রাজ্ঞী মহিলাকে জামিনে বের করে এনে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করে সামাজিক ভাবে কাজী ওয়াজেদের সম্মানহানি করার চেষ্টা করছে।

শ্যামপুরের মোঃ মনির হোসেন বলেন, সত্যের পক্ষে লড়াই করতে গিয়ে আজ নিজেই মিথ্যা মামলার আসামী ওসি কাজী ওয়াজেদ। তার মত একজন সৎ, নীতিবান, আদর্শ পুলিশ অফিসারকে হয়রানি করে অপরাধের সম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করতে চাওয়া দালাল সিন্ডিকেটকে বলছি, আমরা লাখ লাখ সাধারণ মানুষ ওয়াজেদ ভাইয়ের সাথে আছি। তিনি কোনদিন অন্যায়ের কাছে মাথা নত করেননি, করবেননা।
বক্তারা এবিষয়ে আদালতের সুষ্ঠু বিচার এবং কথিত মাদক ব্যবসায়ী নারীর বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানান।

উল্লেখ্য,রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানার ওসি কাজী ওয়াজেদ আলী মিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে অপহরণ, ধর্ষণ এবং ধর্ষণে সহযোগিতার অভিযোগে মামলা করেছেন এক গার্মেন্ট কর্মী। বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক জয়শ্রী সমাদ্দারের আদালতে এ মামলা করা হয়।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- যাত্রাবাড়ী থানার উপ-পরিদর্শক আ স ম মাহমুদুল হাসান, মোছা. লাইজু, মো. শফিকুল ইসলাম রনি, মো. সাগর, মো. শামীম, মো. আলাউদ্দিন, দেলোয়ার হোসেন, মো. হানিফ, মো. স্বপন, বিলকিস আক্তার শিলা ও ফারজানা আক্তার শশী।

নতুন সময়/এসইউএ