ঢাকা সোমবার, ১২ই মে ২০২৫, ৩০শে বৈশাখ ১৪৩২

থানা লুটকারীদের হাতে এখনো ২ হাজার অস্ত্র আর ৩ লাখ রাউন্ড গুলি


৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২৩:৪৯

ফাইল ছবি

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনের সময় আক্রান্ত হওয়া সারাদেশের থানা ফাঁড়ি থেকে লুট হওয়া বিভিন্ন ধরনের ৫ হাজার ৮২৯ টি অস্ত্রের মধ্যে এখনো উদ্ধার হয়নি ২ হাজার ৬৬টি। একই সময়ে বিভিন্ন বোরের গুলি লুট হয় ৬ লাখ ৬ হাজার ৭৪২ রাউন্ড। এর মধ্যে উদ্ধার হয়েছে ২ লাখ ৮৬ হাজার ৮২ রাউন্ড। এখনো উদ্ধার হয়নি ৩ লাখ ২০ হাজার ৬৬০ রাউন্ড। অর্থ্যাৎ বিশাল অংকের অস্ত্রগুলি এখনো লুটকারীদের হাতেই রয়েছে।

পুলিশ সদরদপ্তর থেকে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।

পুলিশ সদরদপ্তর জানায়, লুট হওয়া অস্ত্রগুলোর মধ্যে ৭ দশমিক ৬২ চায়না রাইফেল ১ হাজার ১৪৭টির মধ্যে ৮০৯ টি উদ্ধার হলেও ৩০৮ টি এখনো উদ্ধার হয়নি। ৭ দশমিক ৬২ রাইফেল বিডি ১০টির মধ্যে ৯টি উদ্ধার। ১টি উদ্ধার হয়নি। একই ধরনের এসএমজি ৫৬ চায়না লুট হয় ২৫১ টি। তবে ১৮৫ টি উদ্ধার হয়েছে। এখনো উদ্ধার হয়নি ৬৬ টি। এলএমজি ৫৬ চায়না ৩২ লুট হয়, ২১ টি উদ্ধার হলেও ১১টি উদ্ধার হয়নি। ৭ দশমিক ৬২ এবং ৯ দশমিক ১৯ চায়না পিস্তল ১৫৫৬ টি। এর মধ্যে ৭০৭টি উদ্ধার। উদ্ধার হয়নি ৮৪৯টি। এসএমজি ৩৩ টি এসএমজির মধ্যে ১ টি এখনো উদ্ধার হয়নি। ১২ বোর শর্টগান ২১৯০ টি লুট হয়। এর মধ্যে ১৫৬৮ টি উদ্ধার ৬২২ টি এখনো উদ্ধার হয়নি। ৩৮ মিলিমিটার গ্যাস ৫৯৩ টির মধ্যে উদ্ধার ৪২৫টি। উদ্ধার হয়নি ১৬৮ টি। ৩৮ মিলিমিটার টিয়ারগ্যাস লাঞ্চার সিক্স শর্ট ১৪ টির মধ্যে ৬ টি উদ্ধার হলেও ৮ টি এখনো উদ্ধার করা যায়নি। ২৬ মিলিমিটার সিগন্যাল পিস্তল ৩ টির মধ্যে ১ টি উদ্ধার ২ টি এখনো উদ্ধার করা যায়নি।

এদিকে গোলাবারুদের মধ্যে একই সময়ে বিভিন্ন বোরের গুলি লুট হয় ৬ লাখ ৬ হাজার ৭৪২ রাউন্ড। এর মধ্যে উদ্ধার হয়েছে ২ লাখ ৮৬ হাজার ৮২ রাউন্ড। অর্থ্যাৎ এখনো উদ্ধার হয়নি ৩ লাখ ২০ হাজার ৬৬০ রাউন্ড। টিয়ারশেল ৩১ হাজার ৪৪ টির মধ্যে উদ্ধার ২২ হাজার ১৩৯ রাউন্ড। উদ্ধার হয়নি ৮ হাজার ৯০৫রাউন্ড। বিভিন্ন ধরনের টিয়ার গ্যাস গ্রেনেড ১ হাজার ৪৫৫ রাউন্ডের মধ্যে উদ্ধার ৭০৪ রাউন্ড। এখনো উদ্ধার হয়নি ৭৫১ রাউন্ড। সাউন্ড গ্রেনেড  ৪ হাজার ৬৯২টির মধ্যে ২ হাজার ১১৬ রাউন্ড উদ্ধার । ২ হাজার ৫৭৬ রাউন্ড এখনো উদ্ধার হয়নি। কালার স্মোক গ্রেনেড ২৯১ টির মধ্যে ২১৩টি উদ্ধার হয়েছে। ৭৮টি এখনো উদ্ধার হয়নি। সেভেন/মাল্টিপল ব্যাং স্টান গ্রেনেড ৫৫টির মধ্যে ১৮টি উদ্ধার ,৩৭ টি এখনো উদ্ধার হয়নি। ফ্লাশ ব্যাং / ৬ বার গ্রেনেড ৮৯৩ টির মধ্যে ৫৩৩ টি উদ্ধার। ৩৬০ টি এখনো উদ্ধার হয়নি। হ্যান্ড টিয়ার গ্যাস স্প্রে ১৭৭ টির মধ্যে ৯৪ টি উদ্ধার ৮৩ টি এখনো উদ্ধার হয়নি।

অন্যদিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা বলছেন,    মঙ্গলবার রাত ১২ টা হতে পরিচারিত হচ্ছে যৌথ অভিযান। এই অভিযানে সেনাবাহিনীও যুক্ত হচ্ছে। যৌথ বাহিনীর প্রথম উদ্দেশ্যেই হচ্ছে লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার।