ঢাকা বৃহঃস্পতিবার, ১৫ই মে ২০২৫, ২রা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

চাঁদাবজাদের বিরুদ্ধে মামলা করে বিপাকে ব্যবসায়ী


২৬ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০৭:৫৯

চাঁদাবাজ সাদ্দাম

 চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে মামলা করে বিপাকে পড়েছেন বাশার তালুকদার রনি নামের মিরপুরের এক কাপড় ব্যবসায়ী। মিরপুর ১০ এলাকার ফুটপাতের চাঁদাবাজ হিসেবে পরিচিত সাদ্দামকে চাঁদা না দেয়ার কারণে তাকে তুলে নিয়ে গিয়ে অমানুষিক নির্যাতন করে। পরবর্তীতে রনি এ বিষয় নিয়ে থানায় মামলা করলে সাদ্দাম ও তার সহযোগীরা অব্যাহত হুমকি দিয়ে আসছে। গত প্রায় ১৫ দিনেরও বেশি তাদের হুমকির প্রেক্ষিতে রনি তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।
জানা যায়, রাজধানীর মিরপুরের ১০নং আইডিয়াল স্কুলের পার্শ্ববর্তী জিমের গলি এলাকায় বাশার তালুকদার রনি কাপড়ের ব্যবসা করেন। এই এলাকায় ফুটপাতের চাঁদা উঠায় সাদ্দাম ও তার সহযোগীরা। সাদ্দামের গ্রুপ রনির কাছ থেকে ১ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। এ টাকা দিতে অস্বীকার করলে গত ২৯ আগষ্ট রাত সাড়ে ১০ টার দিকে রনিকে দোকান থেকে উঠিয়ে নিয়ে যায়। এরপর দুই দিন আটকিয়ে রেখে অমানুষিক নির্যাতন চালায়। রনি তাদের বন্দিদশা থেকে মুক্তি হয়ে প্রথমে শহীদ সোহরাওয়র্দী হাসপাতাল ও সেলিনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন। এ ঘটনায় রনি গত ৮ সেপ্টেম্বর সাদ্দামসহ ১৫ জনকে আসামি করে মিরপুর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন যার নম্বর ২৫।
এদিকে মামলা দায়েরের পর রনির ওপর নেমে আসে আরো নির্যাতন। মামলা তুলে নিতে সাদ্দাম ও তার সহযোগীরা একের পর এক হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। এমনকি তাদের ভয়ে এলাকা ছাড়া হয়েছেন রনি।
রনি জানান, মামলার পর থেকে গত প্রায় ১৫ দিন ধরে তিনি দোকান পর্যন্ত খুলতে পারেননি থাকতে পারতেছেন না এলাকায়। তার লোকজন আমারে মেরে ফেলবে এমন কথা বলে বেড়াচ্ছে।
তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমি থানায়ও অবহিত করেছি। আমি আমার নিরাপত্তা দাবি করছি একই সঙ্গে সাদ্দামসহ তার সহযোগীদের গ্রেফতার দাবি করছি।
এদিকে মিরপুর মডেল থানার ওসি মোস্তাজিজুর রহমান বলেন, রনির ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। মামলা সাদ্দাম জামিনেও রয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা ঘটনাটি তদন্ত করছি। অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারে কাজ করছে থানা পুলিশ।
এদিকে জানা যায়, এক সমেয়র সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ মোহাম্মদ আলীর আপন শ্যালক সাদ্দাম। মোহাম্মদ আলী র‌্যাবের ক্রসফায়ারে নিহত হওয়ার পর থেকে মিরপুর-১০সহ আশপাশের এলাকার পুরো ফুটপাত সাদ্দাম ও তার সহযোগীরা নিয়ন্ত্রন করে থাকে।
স্থানীয়রা জানান, সাদ্দামের বিরুদ্ধে কেউ কথা বললেই তাকে তুলে নিয়ে মারধর এবং প্রকাশ্যে অস্ত্র ঠেকিয়ে হত্যার হুমকি দেয়। বর্তমানে গোলচত্তর এলাকায় ফুটপাতে ব্যবসা করে সাদ্দামকে চাঁদা না দিয়ে কেউ ব্যবসা করতে পারেনা। সাদ্দামের চাঁদাবাজিতে এলাকার ব্যবসায়ীরা অতিষ্ঠ।