ঢাকা শুক্রবার, ১৯শে এপ্রিল ২০২৪, ৭ই বৈশাখ ১৪৩১


এমন ট্রাফিক জ্যামও হয়!


৬ অক্টোবর ২০১৮ ০৫:০৮

প্রতিদিন অফিসে আসা কিংবা বাড়ি ফেরার সময় আপনি কি ট্রাফিক জ্যামে বিরক্ত হন? মনে করছেন এমন জ্যাম হয়তো বিশ্বের কোথাও হয় না! তাহলে একেবারেই ভুল ভাবছেন। ২০১০ সালের আগস্টের ঘটনা। বেইজিং-তিব্বত এক্সপ্রেসওয়েতে টানা ১২ দিন ধরে স্থায়ী ছিল যানজট। ইতিহাসে এ রকম বেশ কিছু ট্রাফিক জ্যাম আছে।

ইন্দোনেশিয়ার ব্রেবেসে ২০ কি.মি জুড়ে যানজট হয়েছিল ঈদের ছুটির সময়। প্রত্যেকেই বাড়ি ফিরছিলেন। ২০১৬ সালের জুলাইয়ে টানা তিন দিনের এই যানজটের ফলে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান ১২ জন।

ব্রাজিলের সাও পাওলোতে ২০১৩ সালের নভেম্বর মাসে প্রায় ৩০৯ কিমি জুড়ে বিস্তৃত হয়েছিল যানজট। চলেছিল প্রায় ৪৮ ঘণ্টা। ছুটিতে বাড়ি ফিরছিলেন বাসিন্দারা। এ কারণেই ওই যানজট দেখা দেয়।

১৯৬৯ সালের আগস্টে উডস্টক ফেস্টিভাল। নিউ ইয়র্কের রাস্তায় ৫০ হাজারের বদলে পাঁচ লাখ মানুষ! ৩২ কিমি যানজট, তাও প্রায় তিন দিন টানা। ফলে মিউজিক ফেস্টিভালের জন্য শিল্পীদের আনতে হয়েছিল হেলিকপ্টারে।

বার্লিন দেয়াল ভাঙল। জুড়ল পূর্ব ও পশ্চিম জার্মানি। ১৯৯০ সালের এপ্রিল মাসে দুই দিক থেকে প্রায় এক কোটি আশি লাখ গাড়ি বেরোল রাস্তায়। প্রত্যেকেই বন্ধু ও প্রিয়জনের সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলেন। এদিকে রাস্তা দিয়ে যাওয়ার কথা পাঁচ লাখ গাড়ি। টানা ৪৮ কিমি ধরে ৪৮ ঘণ্টা স্থায়ী ছিল এই যানজট।

২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের ঘটনার পর নিউ ইয়র্ক শহরে টানা বেশ কয়েক দিন ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল রাস্তাঘাটের। কারণ শহরে বেশ কয়েকটি সেতু ও সুড়ঙ্গপথে যাতায়াতে নিষেধাজ্ঞা ছিল। শুধু জরুরি গাড়ির ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা ছিল না। এদিকে সাধারণদের যাতায়াতের জন্য যানবাহন বন্ধ ছিল।

এসএ