টাইগারদের লক্ষ্য ২৬২ রান

আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ম্যাচে যেভাবে খেলেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ, তেমন কিছুই আজ বাংলাদেশের বিপক্ষে দেখাতে পারেনি তারা। টাইগার বোলারদের কৃতিত্ব দিতেই হয় প্রথম ইনিংস শেষে। শুরুর দিকে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন কিছুটা খরুচে হলেও লাগামটা টেনে ধরেছিলেন মাশরাফি আর সাকিব। এরপর যোগ হয়েছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ।
মঙ্গলবার (৭ মে) ডাবলিনে ত্রিদেশীয় সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে টসে জিতে ব্যাটিং বেছে নেন উইন্ডিজ অধিনায়ক জেসন হোল্ডার। ব্যাটিংয়ে শুরুটা দারুণ করেন ক্যারিবীয় ওপেনার হোপ ও সুনীল অ্যামব্রিস। দুজনে মিলে তুলেন ৮৯ রান।
ইনিংসের ১৭তম ওভারে বোলিংয়ে এসেই অ্যামব্রিসকে (৩৮) ফিরিয়ে ব্রেক থ্রু এনে দেন টাইগার অফ-স্পিনার মিরাজ। পরের ওভারে ড্যারেন ব্র্যাভোকে (১) উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহিমের হাতে ক্যাচ দিতে দিতে বাধ্য করেন সাকিব আল হাসান।
৯২ রানে ২ উইকেট হারানো দলের হাল ধরেন হোপ। তাকে সঙ্গ দেন রোস্টন চেজ। দুজনে মিলে যোগ করেন ১১৫ রান। ১২৬ বলে নিজের ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ সেঞ্চুরির দেখা পান হোপ। সেঞ্চুরিটি ১০ চার ও ১ ছক্কায় সাজানো।
সেঞ্চুরি করার পথে ওয়ানডে ক্রিকেটে নিজের ২০০০ রান পূর্ণ করেন শাই হোপ। ৫১তম ম্যাচ আর ৪৭তম ইনিংসেই এই মাইলফলক স্পর্শ করলেন এই ওপেনার। উইন্ডিজের হয়ে সবচেয়ে দ্রুততম সময়ে এই কীর্তি গড়ার পথে তিনি ছাড়িয়ে গেছেন ক্যারিবীয় গ্রেট ভিভ রিচার্ডসকেও (৪৮ ইনিংস)।
দারুণ এক ফিফটি করে মোস্তাফিজুরের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন চেজ। ২ রান যোগ হতেই মাশরাফির দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হয়ে ফেরেন সেঞ্চুরিয়ান হোপ। দুজনকে মাত্র ৩ বলের ব্যবধানে ফেরান মাশরাফি। পরে তার তৃতীয় শিকার হয়ে ফেরেন উইন্ডিজ অধিনায়ক হোল্ডারও। এরপর বলার মতো রান আসে শুধু অ্যাশলে নার্সের (অপরাজিত ১৯ রান) ব্যাট থেকে। শেষ ৫৫ রানে ৫ উইকেট তুলে নিয়েছেন টাইগার বোলাররা। অবশেষে ৯ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের সামনে ২৬২ রানের লক্ষ্য ছুড়ে দিয়েছে উইন্ডিজ।
মাশরাফি ১০ ওভারে ৪৯ রান দিয়ে নেন ৩ উইকেট। ১০ ওভার করে সাইফউদ্দিন দেন ৪৭। উইকেট নিয়েছেন দুটি। চোট কাটিয়ে দলে ফেরা মুস্তাফিজ ২ উইকেট নিলেও ১০ ওভারে দেন ৮৪ রান।
সাকিব আল হাসান ১ উইকেট নিলেও ১০ ওভারে দেন মাত্র ৩৩ রান। এ ছাড়া মেহেদী মিরাজ নেন ১টি করে উইকেট। ডান-হাতি এই স্পিনার দিয়েছেন ৩৮ রান।
নতুনসময়/এসআই