ঢাকা শনিবার, ২০শে এপ্রিল ২০২৪, ৭ই বৈশাখ ১৪৩১


বাংলাদেশ দলের জন্য শুভকামনা করে কোহলীর টুইট


১৬ মার্চ ২০১৯ ০৫:৩০

ফাইল ছবি

অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেছেন বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররা। সিরিজ খেলতে তামিম, মোস্তাফিজরা এখন নিউজিল্যান্ডে। আগামীকাল ভোর থেকে শুরু হওয়ার কথা সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টেস্ট। তৃতীয় টেস্টের শহর ক্রাইস্টচার্চের হ্যাগলি ওভাল মাঠের কাছেই আজ মসজিদে জুমার নামাজ পড়তে গিয়েছিলেন তামিম, মুশফিকরা। সেই মসজিদেই সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ৪৯ জন। এদের মধ্য ২ জন বাংলাদেশীও রয়েছেন বলে খবর।

বাংলাদেশ দলের মসজিদে ঢোকার কথা ছিল দুপুর দেড়টায়। সংবাদ সম্মেলন শেষ করে যেতে যেতে ১টা ৪০ বেজে যায়। বাংলাদেশ দলের বাস আর পাঁচ মিনিট আগে মসজিদে পৌঁছে গেলে ক্রিকেটাররা সন্ত্রাসী হামলার সময় মসজিদের ভেতরেই থাকতেন। তাহলে কী হতে পারত, পাঠক তা বুঝতেই পারছেন!

জানা গেছে, বাংলাদেশ দলের বাস তখন মসজিদের সামনে। ক্রিকেটাররা বাস থেকে নেমে মসজিদে ঢুকবেন, এমন সময় রক্তাক্ত শরীরের একজন মহিলা ভেতর থেকে টলোমলো পায়ে বেরিয়ে এসে হুমড়ি খেয়ে পড়ে যান। ক্রিকেটাররা তখনো বুঝতে পারেননি ঘটনা কী। তাঁরা হয়তো মসজিদে ঢুকেই যেতেন, যদি না বাসের পাশের একটা গাড়ি থেকে এক ভদ্রমহিলা বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের বলতেন, ‘ভেতরে গোলাগুলি হয়েছে। আমার গাড়িতেও গুলি লেগেছে। তোমরা ভেতরে ঢোকো না।

আগামীকাল শুরু হওয়ার কথা ছিল যে ক্রাইস্টচার্চ টেস্ট, সেটি বাতিল করা হয়েছে। কাল শনিবার ঢাকার উদ্দেশ্যে উড়াল দেবে দল।

আঙুলের চোটের কারণে নিউজিল্যান্ড সফরে যাননি সাকিব আল হাসান। দেশে বসেই আজ শুনলেন ক্রাইস্টচার্চের মসজিদে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা। টুইটারে নিজের অভিমত ব্যক্ত করেছেন তিনি। সতীর্থদের বাঁচানোর জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন সৃষ্টিকর্তাকে, ‘ক্রাইস্টচার্চের সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে আমার কিছু বলার নেই। শুধু এটাই বলতে পারি, মহান আল্লাহপাকের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। তিনি আমার ভাই ও সতীর্থদের বাঁচিয়ে দিয়েছেন আজকে। আলহামদুলিল্লাহ।’

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে এ নিয়ে কিছুক্ষণ আগে একটা বার্তা দিয়েছেন কোহলি, ‘হতবাক করে দেওয়ার মতো শোকাবহ ঘটনা। ক্রাইস্টচার্চে এমন কাপুরুষোচিত হামলায় হতাহত লোকজনের জন্য আমার অনেক ভালোবাসা। বাংলাদেশ দলের জন্য আমার শুভকামনা, নিরাপদে থাকুন।’

কোহলির মতোই এ নিয়ে শোক প্রকাশ করেছেন ভারতীয় ব্যাটসম্যান সুরেশ রায়না। কলকাতা নাইট রাইডার্স এ নিয়ে আইসিসির টুইটটি নিজেদের পেজে রিটুইট করেছে। কেকেআর টুইটে ভারতীয়দের মধ্যে এ নিয়ে সবার আগে মন্তব্য করেছেন স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন।


সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে টুইটারে টুইট করেছেন শোয়েব। হামলাকারীর প্রতি তীব্র ঘৃণা প্রকাশ পেয়েছে তাঁর টুইট থেকে, ‘ক্রাইস্টচার্চে মসজিদের মধ্যে সন্ত্রাসী হামলার ছবি দেখলাম। আমি স্তম্ভিত। আমরা কি এখন আমাদের প্রার্থনার জায়গার ভেতরেও নিরাপদ নই? এ ধরনের সন্ত্রাসী হামলার তীব্র প্রতিবাদ জানাই। আমি আনন্দিত, যে বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা নিরাপদ আছে।’


শহিদ আফ্রিদি টুইট করেছেন, তামিমের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। বাংলাদেশ দল ও কোচিং স্টাফরা সবাই নিরাপদে আছে জেনে স্বস্তি পাচ্ছি। এসব থামাতে বিশ্বকে একত্র হতে হবে! এভাবে ঘৃণা করা থামান! সন্ত্রাসবাদের কোনো ধর্ম নেই। শোকসন্তপ্ত পরিবারের জন্য প্রার্থনা। আল্লাহ নিহতদের শান্তি দান করুন।

এদিকে, ক্রাইস্টচার্চে ভয়াবহ হামলার পর নিউজিল্যান্ড-বাংলাদেশ তৃতীয় টেস্ট বাতিলের সিদ্ধান্তের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে আইসিসি।