ঢাকা শুক্রবার, ২৯শে মার্চ ২০২৪, ১৫ই চৈত্র ১৪৩০


অল্পের জন্য রক্ষা পেল বাংলাদেশ ক্রিকেট দল


১৫ মার্চ ২০১৯ ২২:২৫

ফাইল ছবি

একদিন পর শনিবার শুরু হওয়ার কথা ছিল ক্রাইস্টচার্ট টেস্ট। শুক্রবার জুমার নামাজ পড়ে বিকালে অনুশীলনে যেতেন মাহমুদউল্লাহরা। কিন্তু এক ভয়াবহ অভিজ্ঞতা সব কিছু বদলে দিলো।

শুক্রবার স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে ক্রাইস্টচার্চের একটি মসজিদে নামাজ পড়তে যাচ্ছিলেন তামিম, মিরাজ, তাইজুল, মুশফিকরা। আল নূর নামের ওই মসজিদটি ডিন এভিনিউতে অবস্থিত এবং টেস্ট ভেন্যু থেকে একটু দূরে। সেখানেই ঘটে গেলো এক ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলা।

এক বন্দুকধারী মসজিদে ঢুকে অতর্কিত হামলা চালিয়েছে। ক্রিকেটাররা মসজিদে ঢোকার আগ মুহূর্তে ঘটে এই ঘটনা। বিষয়টা টের পেয়ে দ্রুতই হ্যাগলি পার্ক দিয়ে ফিরে যান তামিম-মিরাজরা। একটু পরে যাওয়ায় প্রাণে বেঁচে যান জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা ।

বাংলাদেশ দলের টিম ম্যানেজার খালেদ মাসুদ পাইলট জানিয়েছেন, 'দলের প্রত্যেক খেলোয়াড় নিরাপদে আছে। তাদের কোনও ক্ষতি হয়নি। পরবর্তীতে আমাদের করণীয় কী হবে, সেটা নিয়ে আমরা আলাপ করছি।’

উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম ফেসবুক পোস্টে জানিয়েছেন তার ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা। তিনি লিখেছেন, 'ক্রাইস্টচার্চ মসজিদে হামলা থেকে আল্লাহ আমাদের সবাইকে রক্ষা করেছেন। আমরা খুবই ভাগ্যবান। আমরা ঘটনার খুব কাছাকাছি ছিলাম। কখনোই এ ধরনের অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে চাই না। আমাদের জন্য দোয়া করবেন।’

তামিম ইকবাল ফেসবুকে লিখেছেন, ‘পুরো দল গোলাগুলির হাত থেকে বেঁচে গেলো। খুবই ভয়াবহ অভিজ্ঞতা, সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন।’

ভয়াবহ এই ঘটনার বিবরণ দিয়ে দলের ডাটা অ্যানালিস্ট শ্রীনিবাস তার টুইটার অ্যাকাউন্টে লিখেছেন, ‘মাত্রই এক বন্দুকধারীর হাত থেকে রক্ষা পেলাম। এখনও নিশ্বাস স্বাভাবিকভাবে নিতে পারছি না। ভয় কাজ করছে সর্বত্র।’

জাতীয় দলের ট্রেনার মারিও ভিল্লাভারায়েনও ঘটনার বিবরণ দেন, ‘আমি ঘটনার পরপরই ক্রিকেটারদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা কিছু দেখেনি। তবে গুলির শব্দ শুনে হ্যাগলি পার্ক দিয়ে মাঠে ফিরে গেছে। কোচিং স্টাফের সবাই টিম হোটেলেই ছিলেন। খেলোয়াড়রা গোলাগুলির শব্দ শুনেই দৌড়ে নিরাপদ স্থানে গিয়েছেন।’