বিপিএলের ফাইনালে কুমিল্লা

বিপিএলের এবারের আসরে সবার আগে ফাইনালে উঠলো কুমিল্লা। রংপুরের বড় টার্গেট ১৬৬ রান তাড়া করতে নেমে ১৮.৫ ওভারে তারা লক্ষে পৌঁছে যায়। কুমিল্লার এ জয়ে সবচেয়ে বড় ভুমিকা পালন করে ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটার এভিন লুইস।
আজকের ম্যাচে অ্যালেক্স হেলস এবং এবি ডি ভিলিয়ার্সের অভাবটা হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছেন মাশরাফি। ক্রিস গেইলের অফ ফর্ম সেভাবে চোখেই পড়তে দিচ্ছিলেন না এ দু’জন। ম্যাচে গেইল ব্যাটে রান পেলেও তা ঠিক টি-২০ ক্রিকেটের সঙ্গে মানানসই ছিল না। নিজের চরিত্রের বিপরীতে খেলছেন তিনি। যদিও রুশো, হাওয়েলদের ব্যাটে মিরপুরের উইকেটে লক্ষ্যটা একেবারেই ছোট ছিল না। ব্যাট করতে নেমে তামিম ইকবাল দ্রুত ফিরে গেলেও শুরুটা এভিন লুইসকে দারুণ সঙ্গ দেন এনামুল হক। দারুণ খেলতে থাকা জুটি ভাঙেন শফিউল ইসলাম। ৩৯ রানে বোল্ড হয়ে এনামুল ফিরে যাওয়ার সময় কুমিল্লার দরকার ছিল পাঁচ ওভারে ৪১ রান।
ফর্মের তুঙ্গে থাকা এভিন লুইসকে সঙ্গ দিতে আসেন সামসুর রহমান। পথটা আরো সহজ করে দেন সামসুর রহমান।
এর আগে শুরুতে নড়বড়ে ব্যাটিং করলেও শেষ দিকে বিনি হাওয়েলের ঝড়ে লড়াইয়ের পুঁজি পায় রংপুর। কুমিল্লাকে তারা দেয় ১৬৬ রানের টার্গেট।
শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন রংপুর অধিনায়ক মাশরাফি। ওপেনার মেহেদী মারুফ ফিরে যান মাত্র ১ রানে। নিজেকে হারিয়ে খোঁজা ক্রিস গেইল খেলতে থাকেন ধীর গতিতে। মোহাম্মদ মিঠুনও ব্যর্থ হন। তিনি রান আউট হয়ে ফেরেন মাত্র ৩ রানে। এরপর দারুণ ফর্মে থাকা রাইলি রুশো ক্রিজে আসেন। খোলস ছেড়ে বের হওয়ার চেষ্টা করেন ক্রিস গেইল। ততক্ষণে বেশ কিছু রান করলেও বল খরচ করে ফেলেছেন অনেক। ৪৬ রানের সময় স্কয়ার লেগে গেইলের সহজ ক্যাচ ছেড়ে দেন মাহাদী হাসান। সঞ্জিত সাহাকে গেইলের উইকেটটি পাওয়ার আনন্দ থেকে বঞ্চিত করলেও পরের ওভারে নিজেই ফেরান গেইলকে। লং অনে থিসারা পেরেরা লুফে নেন গেইলের ক্যাচ। রবি বোপারাও ছিলেন আসা যাওয়ার মধ্যেই। তিনি ফিরে যাওয়ার সময় ওভারপ্রতি রংপুরের রান রেট ছিল ৬ এর মতো। সেখানে শেষ পাঁচ ওভারে ৭৪ রান তোলেন রুশো-হাওয়েল জুটি। আর তাতেই ১৬৫ রানের সংগ্রহ পেয়ে যায় রংপুর। তবে তাদের এ টার্গেট বড় হতে দেয়নি কুমিল্লা। ৭ বল হাতে থাকতেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় তারা।
নতুনসময়/আইএ