অলআউট ওয়েস্ট ইন্ডিজ

টাইগারদের স্পিনের যেন কোনো জবাব নেই তাদের কাছে। মিরাজ একাই সাত উইকেট নিয়ে লণ্ডভণ্ড করে দিয়েছেন উইন্ডিজ ব্যাটং লাইনআপ। রোববার ৭৫ রানে পাঁচ উইকেট নিয়ে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৩৬ রান যোগ করে অলআউট হয়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ৫০৮ রানের লিডে খেলতে নেমে প্রথম ইনিংসে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১১১ রান করে। ফলে ৩৯৭ রানে পিছিয়ে আছে উইন্ডিজরা ।
উইন্ডিজের প্রথম ইনিংসে ধ্বংসের সূচনা করেছিলেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। কিন্তু দ্রুতই তাকে ছাড়িয়ে নায়ক হয়ে গেলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ১৬ ওভারে তুলে নিলেন ৭ উইকেট। এই দুজনই উইন্ডিজের ১০ উইকেট ভাগাভাগি করে নিয়েছেন।
মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে উইন্ডিজের বিপক্ষে দুটি রেকর্ড গড়েছে টাইগাররা। প্রথমটি- সফরকারী ব্যাটারদের প্রথম পাঁচজনকে বোল্ড আউট করে ক্রিকেটের ১২৮ বছরে নতুন ইতিহাস গড়েছে বাংলাদেশ। যা টেস্ট ক্রিকেটে ঘটেছে মাত্র তিনবার! দ্বিতীয়টি- দলের প্রতিটি ব্যাটসম্যানের দুই অঙ্কের স্কোর! এটি টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে ১৪তম বারের ঘটনা। যা বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম।
ঢাকা টেস্টের তৃতীয় দিনের শুরুতেই সাফল্য এনে দেন মেহেদী হাসান মিরাজ। তার ঘূর্ণিবলে ক্যাচ তুলে দিলেন হাত খুলে খেলতে থাকা শেমরন হেটমায়ার (৩৯)। নিজের বলে ডাইভ দিয়ে অসাধারণ দক্ষতায় ক্যাচটি তালুবন্দি করে ফেললেন এই তরুণ অল-রাউন্ডার। ফিরতি ওভারে এসেই দেবেন্দ্র বিশুকে (১) সাদমানের ক্যাচে পরিণত করে ক্যারিয়ারে ৬ষ্ঠবারের মতো ৫ উইকেট শিকার করেন মিরাজ।
মেহেদী মিরাজের ৬ষ্ঠ শিকার কেমার রোচ (১)। স্লিপ থেকে ক্যাচটি তালুবন্দি করেন লিটন দাস। দলীয় ৯২ রানে ৮ম উইকেট হারায় উইন্ডিজ। এই স্পিনারের ৭ম শিকার হন উইকেটকিপার শন ডারউইচ (৩৭)। উইন্ডিজের কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকে দেন অধিনায়ক সাকিব। শেমরন লুইস এলবিডাব্লিউ হয়ে গেলে ১১১ রানে শেষ হয় সফরকারীদের ইনিংস তারা খেলতে পেরেছে মাত্র ৩৬.৪ ওভার। এর মধ্যে ১৬ ওভার বল করে ১ মেডেন এবং ৫৮ রানে ৭ উইকেট নেন মিরাজ। ৩ উইকেট নেওয়া সাকিব আরও কিপ্টেমি করে ১৫.৪ ওভারে দেন ২৭ রান।
এর আগে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসে করা ৫০৮ রানের জবাবে ৫ উইকেটে ৭৫ রান তুলে ঢাকা টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষ করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। প্রথম ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমেই চার স্পিনার নিয়ে খেলতে নামা বাংলাদেশের ঘূর্ণি আক্রমণের মুখে পড়ে তারা। ইনিংসের প্রথম উইন্ডিজ অধিনায়ক ব্র্যাথওয়েটকে (০) দিয়ে শুরু করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব। তার দ্বিতীয় শিকার হন সুনিল অ্যামব্রিস (৭)। মিরাজের শিকারে পরিণত হয় কাইরন পাওয়েল (৪), রোস্টন চেইস (০) এবং শাই হোপ (১০)।