ঢাকা সোমবার, ২১শে এপ্রিল ২০২৫, ৯ই বৈশাখ ১৪৩২


জয়ের পথে টাইগাররা


২৫ নভেম্বর ২০১৮ ০০:১৯

নিয়মিত বিরতিতেই উইকেট পড়ছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের। ১১ রানেই ৪ উইকেট পড়েছিল ক্যরিবীয়দের। পঞ্চম উইকেটে একটা ছোট জুটি গড়ে উঠলেও তা বেশি দূর যেতে পারেনি। ৪৪ রানে আগ্রাসী হয়ে ওঠা হেটমায়ারকে ফিরিয়ে দেন মিরাজ। এরপর দলীয় ৫১ রানে বিদায় নেন ডাউরিচ। তাইজুলের বলে এলবিডব্লিউ এর শিকার হন তিনি। ফলে এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সফরকারীদের সংগ্রহ ৮ উইকেটে ৭৫ রান।

স্বাগতিকদের লিডটা যে অনেক বড় তা নয়। জয়ের জন্য ২০৪ রান করতে হবে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। অথচ দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুতেই টাইগার স্পিনারদের আঘাতে বেসামাল হয়ে পড়ে ক্যারিবীয়রা। শুরুতেই সাকিব হানেন জোড়া আঘাত। অন্যদিকে তাইজুলও কম যাননি। তিনিও দ্রুত তুলে নেন ২টি উইকেট।

এদিকে দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুতেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের ওপেনার কাইরন পাওয়লেকে আউট করে টেস্টে নিজের ২০০ উইকেট প্রাপ্তির মাইলফলক স্পর্শ করেন দেশসেরা অলরাউন্ডার। এরপর শাই হোপকে ৩ রানে আউট করেন তিনি। ব্রেথওয়েটকে ফেরান তাইজুল। মাত্র ৮ রান করেছেন তিনি। অন্যদিকে চেস রানের খাতাও খুলতে পারেননি। তাকেও নিজের শিকারে পরিণত করেন তাইজুল।

এর আগে খুব বড় হয়নি বাংলাদেশের লিড। মরণফাঁদ হয়ে ওঠা পিচে উইকেট পড়েছে নিয়মিত বিরতিতে। সেই অর্থে কোনো বড় জুটি দেখা যায়নি পুরো ইনিংসে। আগের দিনের ৫ উইকেটে ৫৫ রান নিয়ে খেলতে নামা বাংলাদেশ তৃতীয় দিনে অলআউট হয়েছে ১২৫ রানে। এর ফলে জয়ের জন্য ওয়েস্ট ইন্ডিজকে করতে হবে ২০৪ রান।

তৃতীয় দিনে উইকেট না হারিয়ে স্কোর বাড়ানোই ছিল বাংলাদেশের লক্ষ্য। কিন্তু দিনের শুরুতেই অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিমকে হারিয়ে হোঁচট খায় টাইগাররা। শ্যানন গ্যাব্রিয়েলের সুইং ডেলিভারিতে পরাস্ত হয়ে ১৯ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি। আগের দিনের ৫ উইকেটে ৫৫ রান নিয়ে খেলতে নামা বাংলাদেশ নিজেদের ৬ষ্ঠ উইকেট হারায় ৬৯ রানে।

মুশফিকের বিদায়ে ক্রিজে আসেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। মিরাজের সাথে বড় জুটি গড়াই ছিল লক্ষ্য। দেখে শুনে ভালোই খেলছিলেন দুজন। দলীয় ১০৬ রানের মিরাজ আউট হন দেবেন্দ্র বিশুর বলে। ১৮ রান করেন তিনি। এরপর নাইম হাসানের সাথে আরেকটি ছোট জুটি গড়েন মাহমুদুল্লাহ। ১২২ রানে বিশুর আরেকটি শিকারে পরিণত হন ৫ রান করা নাইম।

এরপর বাকি তিন উইকেট পড়তে সময় লাগেনি মোটেও। বিশুর ঘূর্ণিতে মাহমুদুল্লাহ আউট হন ৩১ রান করে। মোস্তাফিজ ও তাইজুলও পারেননি কিছু রান যোগ করতে। ফলে ১২৫ রানেই থেমে যায় টাইগারদের দ্বিতীয ইনিংস। ২০৩ রানের লিড নেয়ার পর টাইগাররা মাঠে নামে ক্যারিবীয়দের বেঁধে ফেলতে।