ঢাকা সোমবার, ২১শে এপ্রিল ২০২৫, ৯ই বৈশাখ ১৪৩২


১০ উইকেট বিলিয়ে টাইগারদের সংগ্রহ ৩২৪


২৩ নভেম্বর ২০১৮ ২১:৫২

নাঈমকে ফিরিয়ে দিনের শুরুতে উইন্ডিজ বোলার জোমেল ওয়ারিক্যান দলকে ব্রেক থ্রু এনে দেন। মোস্তাফিজ ব্যটিংয়ে নামলেও টেকেনি টাইগারদের রানের দেয়াল। চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৩২৪ রানে গুটিয়ে গেছে বাংলাদেশ।

আগের দিনের ৮ উইকেটে ৩১৫ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিন ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টায় চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হয়। তাইজুল ইসলাম ৩২ এবং নাঈম হাসান ২৪ রান নিয়ে খেলা শুরু করেন। দিনের শুরুটা ধীরে শুরু করে ভালো স্কোরের দিকে এগুচ্ছিল টিম বাংলাদেশ। তবে শুরুতেই জোমেল ওয়ারিক্যানের বলে শাই হোপকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন নাঈম (২৬)।

এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়ে সাজঘরে ফেরেন মোস্তাফিজ।

প্রথম দিন গ্যাব্রিয়েলের ভয়ংকর বোলিংয়ে তছনছ হয়ে যায় টাইগারদের সাজানো ব্যাটিং। বড় রানের সম্ভাবনা থাকলেও শেষ পর্যন্ত ৩০০ পার হবে কিনা তা নিয়ে ছিল সংশয়। তবে অভিষিক্ত নাঈম ও তাইজুলের ব্যাটে ৩০০ পার হয়। উইন্ডিজ সিরিজের প্রথম টেস্টের প্রথম দিন শেষে টাইগাররা আট উইকেট হারিয়ে ৩১৫ রান করে। নাঈম-তাইজুল দুজনই অপরাজিত থাকেন ২৪ ও ৩২ রানে।

নাঈম-তাইজুলের জুটিতে ৩০০ পার
পরপর উইকেট হারিয়ে যখন দল খাদের কিনারায় তখন ঢাল হয়ে দাঁড়ালেন অভিষিক্ত নাইম হাসান ও বোলার তাইজুল। দুইজনের অবিচ্ছেদ্য ৫৬ রানের জুটিতে বাংলাদেশ পার করে ৩০০। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বাংলাদেশের সর্বশেষ ২০০ প্লাস রানের স্কোর ছিলো ২০১৪ সালে। এরপর, আজকের আগে আরো সাত ইনিংস খেললেও তাদের বিপক্ষে আর ২০০ ও ছোঁয়া হয়নি বাংলাদেশের। আজ ৩০০ পার করলেন সাকিবরা।

সম্ভাবনা দেখিয়ে আউট মিরাজ
পরপর চার উইকেট হারিয়ে যখন বিধ্বস্ত বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপ তখন ব্যাট হাতে ঘুরে দাঁড়ানোর সম্ভাবনা দেখিয়েছিলেন মেহেদী মিরাজ। কিন্তু বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি ক্রিজে। ৩১ বলে তিনটি চারের মারে ২২ রান করে অয়ারি ক্যানের বলে আউট হয়ে ফিরে যান সাজঘরে।

মুমিনুলের পর ফিরে গেলেন মুশফিক-মাহমুদুল্লাহ-সাকিব
১২০ রানে থামে মুমিনুলের ইনিংস। গ্যাব্রিয়েলের বলে ক্যাচ দিয়ে আউট হন তিনি। মুমিনুল ফিরে যাওয়ার পর মাঠে এসে দ্রুত ফিরে যান মুশফিক-মাহমুদুল্লাহ। দুজনেই আউট হন গ্যাব্রিয়েলের বলে। মুশফিক ৪ ও মাহমুদুল্লাহ ৩ রান করেন। এরপর ক্রিজে থিতু হওয়া সাকিব আল হাসানও মুশফিদের অনুসরণ করেন। তিনিও ৩৪ রানের মাথায় গ্যাব্রিয়েলের বলে বোল্ড হয়ে ফিরে যান। টানা চার উইকেট নিয়েছেন শ্যানন গ্যাব্রিয়েল।

টানা দুই টেস্টে মুমিনুলের দুর্দান্ত শতক
মুমিনুল ক্যারিয়ারের ৮ম সেঞ্চুরি তুলে নিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। ১৩৬ বলে নয়টি চার ও একটি ছয়ের মারে তিনি সেঞ্চুরির দেখা পান। চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে মুমিনলের অর্ধশতক মানেই বড় রানের আশা। এর আগে বছরের শুরুতে এই মাঠেই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জোড়া সেঞ্চুরি করেছিলেন। প্রথম ইনিংসে ১৭৬ রানের পর দ্বিতীয় ইনিংসে করেন ১০৫ রান।

ফিরে গেলেন মিথুন, নেমেছেন সাকিব
মুমিনুল হকের সঙ্গে তৃতীয় উইকেটের জুটিতে সাবলীল ব্যাটিং করছিলেন মিথুন। কিন্তু বাজে শটে ব্যাক্তিগত ২০ রানে ফিরে যান এ ডানহাতি ব্যাটসম্যান। তার ফিরে যাওয়ার মাধ্যমে তৃতীয় উইকেট ৪৮ রানের জুটি ভাঙে। দেবেন্দ্র বিশুর বলে ক্যাচ তুলে আউট হন মিথুন। মিথুন ফিরে গেলে প্রায় দুই মাস পর ব্যাট হাতে মাঠে নেমেছেন সাকিব আল হাসান।

ক্রিজে টিকে থাকতে পারেননি ইমরুলও
মাত্র ছয় রানের জন্য হাফ-সেঞ্চুরি থেকে বঞ্চিত হলেন ইমরুল কায়েস। ক্রিজে থিতু হয়েও টিকে থাকতে পারেননি এ বাঁহাতি ওপেনার। ৪৪ রানের মাথায় ওয়ারিক্যানের বলে ফিরে যান সাজঘরে। তার ইনিংসটি সাজানো ছিল পাঁচটি চারের মারে। ইমরুলের আউট হয়ে গেলে ভেঙে যায় দ্বিতীয় উইকেটে ১০৪ রানের জুটি।

শুরুতেই ফিরে যান সৌম্য
দলীয় এক রানের মাথায় নিজের রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফিরে যান সৌম্য সরকার। জিম্বাবুয়েরর বিপক্ষে দুর্দান্ত সেঞ্চুরি করে লিটন দাসের পরিবর্তে সুযোগ পেয়ে ব্যাট হাতে ব্যর্থ হন এ বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। কেমার রোচের বলে আউট হন তিনি।

কিছুক্ষণের মধ্যে ব্যাট করতে নামবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বল হাতে ৪টি করে উইকেট শিকার করেন শ্যানন গ্যাব্রিয়েল ও জোমেল ওয়ারিক্যান।

বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ৮৮ ওভারে ৩১৫/৮ (ইমরুল ৪৪, সৌম্য ০, মুমিনুল ১২০, মিথুন ২০, সাকিব ৩৪, মুশফিক ৪, মাহমুদউল্লাহ ৩, মিরাজ ২২, নাঈম ২৪*, তাইজুল ৩২*; রোচ ১৫-২-৫৫-১, গ্যাব্রিয়েল ১৮-২-৬৯-৪, চেজ ১১-০-৪২-০, ওয়ারিক্যান ২১-৬-৬২-২, বিশু ১৫-০-৬০-১, ব্র্যাথওয়েট ৮-১-১৯-০)