ঢাকা শনিবার, ১৯শে এপ্রিল ২০২৫, ৭ই বৈশাখ ১৪৩২


বাংলাদেশ, অস্ট্রেলিয়া, আফগানিস্তান—সবাই তাকিয়ে সবার দিকে


২৪ জুন ২০২৪ ১০:৫২

ছবি: সংগৃহীত

সুপার এইট নামটা তাহলে যথার্থই হয়েছে বলতে হবে। সব ম্যাচই ‘বড়’ ম্যাচ, প্রতিটি ম্যাচেরই অসীম গুরুত্ব। ‘মরা’ ম্যাচ বলতে কিছু নেই। এমনকি অন্তত যে একটা ম্যাচ শুধুই খেলার জন্য খেলা হবে বলে মনে হয়েছিল, সেই বাংলাদেশ-আফগানিস্তানও এখন তুমুল উত্তেজনার অন্য নাম। সুপার এইট আসলেই ‘সুপার’ হচ্ছে।

সাকিব আল হাসানের সংবাদ সম্মেলনে ওই প্রশ্নটা করেছিলেন যে বিদেশি সাংবাদিক, তাঁর কাছে তো ক্ষমা চাইতে হবে দেখছি। যদিও তাঁর প্রশ্ন শুনে হেসে দেওয়াটাই ছিল তখন স্বাভাবিক। সাকিব হয়তো হাসেননি। তবে অবাক তো হয়েছেনই। সুপার এইটে টানা দুই ম্যাচে হেরে বাংলাদেশ ‘বিদায়’ নিয়েছে, আর ওই সাংবাদিক কিনা প্রশ্ন করছেন বাংলাদেশের সেমিফাইনাল খেলার সম্ভাবনা নিয়ে! সাকিব খুব দ্রুতই প্রসঙ্গটা শেষ করে দিলেন এই বলে, ‘আমার মনে হয় না আর কোনো সুযোগ আছে।’

 

তখন কে জানত, সেই রাতেই আফগানিস্তান বিশ্বকাপকে এমন জমিয়ে তুলবে! খুলে দেবে বাংলাদেশের জন্যও সম্ভাবনার দুয়ার। এটা অবশ্য একটু বেশি বলা হয়ে গেল। সম্ভাবনার দুয়ার খুলে গেছে কোথায়; বরং বলতে পারেন, বাংলাদেশের সেমিফাইনালে ওঠার দুয়ারে এখন আর খিল দেওয়া নেই। ধাক্কা দিলে তা খুলেও যেতে পারে।

সমস্যা হলো, শুধু বাংলাদেশ ধাক্কা দিলেই তো হচ্ছে না। আরও অনেক দিক থেকে ধাক্কাধাক্কি লাগবে। প্রথম কথা, বাংলাদেশকে জিততে হবে, হারতে হবে অস্ট্রেলিয়াকে। শুধু তাতেই হবে না। কোথায় যেন একটা হিসাব দেখলাম, বাংলাদেশ ৩১ রানে জিতলে নেট রান রেটে আফগানিস্তানকে পেছনে ফেলতে পারবে। কিন্তু পেছনে ফেলতে হবে অস্ট্রেলিয়াকেও। সেটা তো আর বাংলাদেশের হাতে নেই। সেই কাজটা করতে হবে ভারতকে। অস্ট্রেলিয়াকে হারাতে হবে কমপক্ষে ৫৫ রানে।

এত জটিল হিসাব-নিকাশ বাংলাদেশ-আফগানিস্তান ম্যাচের আগেই অবশ্য সরল হয়ে আসবে। সেন্ট লুসিয়ায় সোমবারের সকাল আর বাংলাদেশের রাতে ভারত-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচ পুনর্নির্ধারণ করে দেবে বাংলাদেশ-আফগানিস্তান ম্যাচের গুরুত্ব। মানে, ওই ম্যাচে শুধু আফগানিস্তানেরই সেমিফাইনাল খেলার সুযোগ থাকবে, নাকি বাংলাদেশও নামতে পারবে ক্ষীণ আশা নিয়ে।