ঢাকা রবিবার, ২০শে এপ্রিল ২০২৫, ৮ই বৈশাখ ১৪৩২


গ্রিন-হ্যাজলউডের ১১৬ রানের রেকর্ড জুটিতে এগিয়ে অস্ট্রেলিয়া


১ মার্চ ২০২৪ ১৮:২১

সংগৃহীত

ওয়েলিংটনের বেসিন রিজার্ভে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে গ্রিন-হ্যাজেলউড কঠিন ধৈর্যের পরিচয় দেন। অস্ট্রেলিয়া অলআউট হলেও শেষ পর্যন্ত ক্যামেরন গ্রিন অপরাজিত। ব্যাটিং করেছেন ৩৯৬ মিনিট। খেলেছেন টেস্ট ক্যারিয়ারের সেরা ইনিংস। তাতে রানের পাহাড় গড়ে অস্ট্রেলিয়া।

প্রথম ইনিংসে ৯ উইকেটে ২৭৯ রানে আজ দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করে অস্ট্রেলিয়া। অস্ট্রেলিয়ার নামের পাশে তখন লেখা ৮৫ ওভার। টেস্ট ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি পূর্ণ করা গ্রিন দিন শুরু করেন ১০৩ রানে।

হ্যাজলউড শুরু করেন শূন্য রান থেকে। এই স্কোরের সঙ্গে আরও ১০৪ রান যোগ করে অস্ট্রেলিয়া অলআউট হয়েছে ৩৮৩ রানে। ২৭৫ বলে ২৩ চার ও ৫ ছক্কায় টেস্ট ক্যারিয়ারের সেরা ১৭৪ রানের ইনিংস খেলেন গ্রিন। ১১৬তম ওভারের প্রথম বলে হ্যাজলউডকে ফিরিয়ে অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসের সমাপ্তি টেনেছেন ম্যাট হেনরি।

নিউজিল্যান্ডের বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৫ উইকেট নেন হেনরি। দশম উইকেটে গ্রিন-হ্যাজলউডের জুটি ছিল ১৮৮ বলে ১১৬ রানের। অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট ইতিহাসে শেষ উইকেটে এটা চতুর্থ সর্বোচ্চ রানের জুটি। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে এটা টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার শেষ উইকেটে সর্বোচ্চ।

ব্যাটিংয়ে নেমে নিউজিল্যান্ড শুরু থেকেই ধুকতে থাকে। দলীয় ১২ রানে ভেঙে যায় কিউইদের উদ্বোধনী জুটি। ইনিংসের পঞ্চম ওভারের চতুর্থ বলে টম লাথামকে বোল্ড করেন মিচেল স্টার্ক। ১৩ বলে ১ চারে লাথাম করেন ৫ রান। এরপর একই ওভারের শেষ বলে রান আউটের ফাঁদে কাটা পড়েন তিন নম্বরে নামা কেইন উইলিয়ামসন। ২ বল খেলেও রানের খাতা খুলতে পারেননি।

উইলিয়ামসনের মতো রানের খাতা খোলার আগে বিদায় নেন রাচীন রবীন্দ্র। ষষ্ঠ ওভারের তৃতীয় বলে হ্যাজলউডকে ড্রাইভ করতে যান রবীন্দ্র। পয়েন্টে দারুণ ক্যাচ ধরেন নাথান লায়ন। ওপেনার উইল ইয়ং চেয়ে চেয়ে দেখলেন সতীর্থদের আশা যাওয়া। তখন দলের স্কোর ৫.৩ ওভারে ৩ উইকেটে ১২ রান।

পাচ নম্বরে নামা ড্যারিল মিচেলের সঙ্গে ইয়ং খেলেন ৭১ বল। তবে চতুর্থ উইকেটের এই জুটিতে যোগ হয়েছে ১৭ রান। ১৭তম ওভারের শেষ বলে প্যাট কামিন্সের বলে শট খেলতে যান মিচেল। এজ হওয়া বল ক্যাচ ধরেন অস্ট্রেলিয়ার উইকেটরক্ষক অ্যালেক্স ক্যারি। ৩৭ বলে ১ চারে ১১ রান করেন মিচেল। ঠিক তার পরের বলে আউট হয়েছেন ইয়ং। ১৮তম ওভারের প্রথম বলে ইয়ংকে কট বিহাইন্ড করেন মিচেল মার্শ।

টানা দুই বলে মিচেল, ইয়ংয়ের উইকেট হারিয়ে নিউজিল্যান্ডের স্কোর হয়ে যায় ১৭.১ ওভারে ৫ উইকেটে ২৯ রান। এরপর সাত নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামেন গ্লেন ফিলিপস। ব্লান্ডেলের সঙ্গে জুটি বেঁধে বিপদে পড়া নিউজিল্যান্ডের হাল ধরেন ফিলিপস। মারমুখী ব্যাটিংয়ে ৪৩ বলে তুলে নেন টেস্ট ক্যারিয়ারের তৃতীয় ফিফটি।

ষষ্ঠ উইকেটে ৮৬ বলে ৮৪ রানের জুটি গড়েন ফিলিপস ও ব্লান্ডেল। ৩২তম ওভারের তৃতীয় বলে ব্লান্ডেলকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন লায়ন। ৪৩ বলে ৩ চারে ৩৩ রান করেন ব্লান্ডেল। একই ওভারের পঞ্চম বলে লায়ান ফেরান স্কট কুগলেইনকে। ২ বল খেলেও রানের খাতা খুলতে পারেননি কুগলেইন।

লায়নের জোড়া আঘাতে নিউজিল্যান্ডের স্কোর হয়ে যায় ৩১.৫ ওভারে ৭ উইকেটে ১১৩ রান। এরপর ৯ নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে হেনরি ব্যাটিং করেন ওয়ানডে স্টাইলে। ৩৪ বলে ৩ চার ও ৪ ছক্কায় ৪২ রান করেন তিনি।

অষ্টম উইকেটে ফিলিপসের সঙ্গে ৫২ বলে ৪৮ রানের জুটি গড়তে অবদান রাখেন হেনরি। ফিলিপসকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন হ্যাজলউড। ৭০ বলে ১৩ চারে ৭১ রানের ইনিংস খেলেন ফিলিপস। এখান থেকে দ্রুত গুটিয়ে যায় নিউজিল্যান্ড। ১৮ রানে শেষ ৩ উইকেট হারিয়ে ১৬৯ রানে অলআউট হয়ে যায় কিউইরা।

২০৪ রানে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসের খেলা শুরু করে অস্ট্রেলিয়া। রানের খাতা খোলার আগেই উইকেট হারায় অজিরা। ইনিংসের তৃতীয় বলে স্টিভ স্মিথকে বোল্ড করেন টিম সাউদি।

এরপর পঞ্চম ওভারের চতুর্থ বলে মারনাস লাবুশেনকে ফেরান সাউদি। অজিদের স্কোর হয়ে যায় ২ উইকেটে ৪ রান। চার নম্বরে তখন ব্যাটিংয়ে নামেন লায়ন। দিনটা অবশ্য শেষ হতে পারত ৩ উইকেটে ১৩ রানে।

অষ্টম ওভারের শেষ বলে হেনরিকে শট করতে যান লায়ন। তবে আউটসাইড এজ হওয়া বল তৃতীয় স্লিপে তালুবন্দী করতে পারেননি সাউদি। শেষ পর্যন্ত ২ উইকেটে ১৩ রানে দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ করে অজিরা। সফরকারীরা এগিয়ে ২১৭ রানে। খাজা ৫ রানে ও লাবুশেন ৬ রানে ব্যাটিং করছেন।

নতুনসময়/এএম


ওয়েলিংটন, নিউজিল্যান্ড, টেস্ট, অস্ট্রেলিয়া, ক্যামেরন গ্রিন, হ্যাজেলউড