ইমরুল ঝড়ে বাংলাদেশের বড় সংগ্রহ

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৩ ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে বাংলাদেশ নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে ২৭১ রান সংগ্রহ করেছে। বাংলাদেশের পক্ষে সেঞ্চুরি হাঁকান ইমরুল কায়েস। মোহাম্মদ সাইফুদ্দিনের ব্যাট থেকে আসে ৫০ রান।
ইনজুরির কারণে তামিম না থাকায় তার বদলি হিসেবে দলে সুযোগ পান ইমরুল কায়েস। ইমরুলকে সঙ্গ দিতে ক্রিজে ছিলেন এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করা লিটন দাস। তবে আজকের ইনিংসটি লম্বা করতে পারেননি তিনি। ১৩ বলে মাত্র ৪ রান করে সাজঘরে ফেরত যান লিটন।
লিটন ফিরলে ব্যাটিংয়ে নামেন অভিষিক্ত ফজলে রাব্বি। কিন্তু অভিষেক ম্যাচে কোনো রান না করেই ফিরে যান ফজলে রাব্বি। টেণ্ডাই চাতারার উঁচু হয়ে আসা বলটি রাব্বির হাতে লেগে উইকেটকিপারের হাতে ধরা পড়েন তিনি। রাব্বি ৪ বল খেলার সুযোগ পান মাত্র।
দ্রুত দুই উইকেট হারানো বাংলাদেশের ইনিংস মেরামতের জন্য ক্রিজে নামেন ‘মিস্টার ডিপেন্ডেবল’ মুশফিকুর রহীম। ইমরুল কায়েসকে সঙ্গে নিয়ে ওভার প্রতি গড়ে ৪রান নিয়ে ১২ ওভারেই অর্ধশতক পার করে বাংলাদেশ।
মাভুতার বলে আউট হয়ে ফেরার আগে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের মূল স্তম্ভ মুশফিকুর রহিম ২০ বলে ১৫ রান করে উইকেটের পেছনে টেইলরের কাছে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন।
বাংলাদেশের ব্যাটিং বিপর্যয়ের মধ্যে একাই লড়াই করে যান অভিজ্ঞ ওপেনার ইমরুল কায়েস। ৬৪ বলে তুলে নেন ফিফটি, ইমরুলকে সঙ্গ দেন মিঠুন। দ্রুত রান তুলতে থাকা ইমরুলের দুই ছয়ে বাংলাদেশ শত রান পার করে।
ইমরুল কায়েসের সঙ্গে ৭১ রানের জুটি গড়ে ৪০ বলে ৩৭ রানে আউট হয়ে যান মোহাম্মদ মিঠুন। জারভিসের বলে টেইলরের কাছে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন মিঠুন। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে ক্রিজে নেমেই কোন রান না করে ৪ বল মোকাবেলা করে আউট হন রিয়াদ।
তিন ওভারের মধ্যে তিন উইকেট হারিয়ে চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ে বাংলাদেশ। মিঠুন, রিয়াদের পর ক্রিজে এসেই উইকেট খুইয়ে বিদায় নেন মেহেদী হাসা
মিরাজ আউট হলে সাইফুদ্দিনকে নিয়েই রানেন মিরাজ। চার বলে এক রান করে সেই জারভিসের বলেই আউট হন তিনি।র চাকা সচল রাখেন ইমরুল। শেষ পর্যন্ত ক্যারিয়ারের তৃতীয় সেঞ্চুরি তুলে নেন ইমরুল কায়েস। বাংলাদেশ দলের ব্যাটিং বিপর্যয়ের দিনে এই দুই ব্যাটসম্যান দলকে নিয়ে যান বড় স্কোরের দিকে। এর আগে ২০১৬ সালে ইংল্যান্ড ও ২০১০ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করেছিলেন ইমরুল কায়েস।
ইমরুল কায়েস সেঞ্চুরি করেই জিম্বাবুয়ের বোলারদের ওপর চড়াও হন। একের পর এক বল গ্যালারিতে আছড়ে ফেলেন কায়েস। এদিকে ওপেনার কায়েসকে সঙ্গ দেন সাইফুদ্দিন। এই দুই ব্যাটসম্যান ১২৭ রানের জুটি গড়েন। সেই সঙ্গে ইমরুল ক্যারিয়ার সেরা ১৪৪ রান করে সেই জার্ভিসের বলেই আউট হয়ে ফেরত যান। ইমরুল ১৪৪ রানে ফিরে যাওয়ার আগে মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন অর্ধশতক পুড়ন করেন।
এমএ