আড়াই বছর পর কমিটি দিল বাফুফে

বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের কার্যনিবাহী কমিটির মেয়াদ চার বছর। চতুর্থ মেয়াদে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন ইতোমধ্যে প্রায় আড়াই বছর পার করতে চলেছেন। তার মেয়াদ পূর্ণ হতে আর দেড় বছরের মতো সময় বাকি। ঠিক সে সময়েই গুরুত্বপূর্ণ স্ট্যান্ডিং কমিটি গ্রাউন্ডস এন্ড ফ্যাসিলিটিজ গঠন করা হয়েছে।
কাজী সালাউদ্দিনের বিগত তিন মেয়াদেই গ্রাউন্ডস কমিটি ছিল। চতুর্থ মেয়াদে প্রায় ২০টি’র কাছাকাছি স্ট্যান্ডিং কমিটি করলেও গ্রাউন্ডস কমিটি ছিল না। বর্ষায় বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে কর্দমাক্ত মাঠ, কমলাপুরে অনুপযুক্ত টার্ফসহ নানা বিষয় ছিল গ্রাউন্ডস সংক্রান্ত। গ্রাউন্ডস কমিটি না থাকায় সুনির্দিষ্টভাবে মাঠের দিকে বাফুফের সেভাবে নজর ছিল না। যে কমিটির অধীনে প্রতিযোগিতা চলে, তারাই মাঠের তত্ত্বাবধান করত। বাফুফের প্রশাসনিক কর্মকর্তারাও মাঠ দেখভালের সঙ্গে ছিলেন। এভাবে আড়াই বছর কাটানোর পর অবশেষে গঠিত হয়েছে গ্রাউন্ডস কমিটি।
আগের তিন মেয়াদেই কাজী সালাউদ্দিনের নির্বাহী সদস্য ফজলুর রহমান বাবুল গ্রাউন্ডস কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন। এই মেয়াদে সালাউদ্দিনের বিপরীত প্যানেল থেকে নির্বাচন করে বাবুল নির্বাহী কমিটির সদস্য হতে পারেননি। জুডিশিয়ারি বাদে (প্লেয়ার স্ট্যাটাস, আপিল ও ডিসিপ্লিনারি) অন্য স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান সাধারণত নির্বাহী কমিটি থেকেই মনোনীত হন। আড়াই বছর পর নির্বাহী কমিটির বাইরে বাবুলের ওপরই আস্থা রাখতে হচ্ছে ফেডারেশনকে।
সিনিয়র এই ক্রীড়া সংগঠক গত দুই বছর বিভিন্ন মাধ্যমে বাফুফের নানা কর্মকান্ডের সমালোচনা করেছেন। স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান হওয়ায় তিনি এখন কোড অফ কন্ডাক্টের আওতায়। ফলে কড়া সমালোচক এখন ফেডারেশনের অনুগত হওয়ার পথেই হাটছেন বলে তার কথায় স্পষ্ট, ‘আমি মাঠ নিয়ে কাজ করি। তাই মাঠের দায়িত্ব নেওয়ার অনুরোধ করায় দায়িত্ব নিলাম ’।
ফজলুর রহমান বাবুলের সঙ্গে মাঠ কমিটিতে রয়েছেন তিন নির্বাহী সদস্য জাকির হোসেন চৌধুরী, টিপু সুলতান ও আমের খান। এই তিনজনেরই কমিটিতে থাকা নিয়ে অসন্তোষ রয়েছে বলে জানা গেছে। ৬ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির অন্য ২ জন হলেন- বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের সাবেক প্রশাসক মো. ইয়াহিয়া ও জাহাঙ্গীর আলম। সাধারণত স্ট্যান্ডিং কমিটি গঠন ও ভাঙা নির্বাহী কমিটির এখতিয়ার। বছর দুয়েক আগে রেফারিজ কমিটির চেয়ারম্যান পরিবর্তনের মতো এই কমিটিও গঠন হয়েছে নির্বাহী কমিটির সভা ছাড়াই।
আইকে