ঢাকা সোমবার, ২১শে এপ্রিল ২০২৫, ৯ই বৈশাখ ১৪৩২


হৃদয়ের টানা দ্বিতীয় ফিফটিতে সিলেটের হ্যাটট্রিক জয়


১০ জানুয়ারী ২০২৩ ০৪:১৮

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের সঙ্গে সিলেট ফ্র্যাঞ্চাইজির সম্পর্ক সবসময় বৈরী ছিল। এই টুর্নামেন্টে সিলেট যখন যে ফ্র্যাঞ্চাইজি নিয়েই খেলতে আসুক না কেন ফলাফল বরাবরই তলানিতে।

এবার সেই চিত্র বদলাচ্ছে মাশরাফী বিন মোর্ত্তজার হাত ধরে। টুর্নামেন্টের প্রথম তিন ম্যাচে মাঠে নেমে তিনটিতেই জয়ের হাসি হেসেছে সিলেট স্ট্রাইকার্স।

আজ (৯ জানুয়ারি) টুর্নামেন্টের তৃতীয় দিন, নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে মাঠে নেমেছিল দলটি।

মিরপুর শের-ই বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে তৃতীয় দিনের প্রথম খেলায় কুমিল্লাকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে মাশরাফীর দল। এদিকে টুর্নামেন্টের প্রথম দুই ম্যাচেই হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে ইমরুল কায়েসের কুমিল্লাকে।

সিলেটের এই জয়ের নায়ক তরুণ ক্রিকেটার তৌহিদ হৃদয়। যিনি কিনা সিলেট অধিনায়ক মাশরাফীর প্রথম টার্গেট ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে এই ক্রিকেটারও জানিয়েছিলেন সেই বিষয়, ‘মাশরাফী ভাই আমাকে বলেছিলেন, উনার প্রথম টার্গেটই আমি ছিলাম। উনি আমাকে দলে টানবেন।’

মাশরাফী যে হীরে চিনতে ভুল করেননি বিপিএলের মঞ্চে সেটি বেশ ভালোভাবেই প্রমাণ করছেন হৃদয়। যেকোনো টি-টোয়েন্টিতে এর আগে মাত্র ২টি ফিফটি ছিল এই ব্যাটসম্যানের। এর একটিও বিপিএলের মঞ্চে নয়। প্রথমবারের মতো বিপিএলের মঞ্চে ফিফটির দেখা পেয়েছিলেন ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে।

সেই ম্যাচে ফিফটি হাঁকিয়ে দল জিতিয়ে ম্যাচসেরার পুরস্কার বাগিয়ে নিয়েছিলেন এই ক্রিকেটার। একই কাজ হৃদয় করলেন আজ, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে ম্যাচেও।

মিরপুরে এদিন টসে হেরে আগে ব্যাটিং করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৪৯ রান তুলেছিল কুমিল্লা। জবাবে হৃদয়ের ফিফটিতে ১৪ বল আগে জয় তুলে নেয় সিলেট।

কুমিল্লার পক্ষে এদিন সর্বোচ্চ রান করেন আরেক তরুণ তুর্কি জাকের আলী অনিক। ফিফটি হাঁকিয়ে ৫৭ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। জাকের ছাড়া ডেভিড মালানের ব্যাট থেকে আসে ৩৭ রান।

এদিকে সিলেটের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫৬ রান আসে হৃদয়ের ব্যাট থেকে। ৩৭ বলে ৩টি চার ও ৪টি ছয়ে এই রান করেন তিনি। এ ছাড়াও অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিমের ব্যাট থেকে আসে অপরাজিত ২৯ রান। চারে নেমে আগের ম্যাচের মতো আজও ক্যামিও খেলেন জাকির হাসান। ১০ বলে ২০ রান করেন তিনি।

কুমিল্লার পক্ষে ২টি করে উইকেট নেন খুশদিল শাহ এবং মোহাম্মদ নবি। অন্য উইকেটটি নেন আবু হায়দার রনি।

আইকে