ঢাকা মঙ্গলবার, ২২শে এপ্রিল ২০২৫, ১০ই বৈশাখ ১৪৩২


৭ উইকেটে জিতলো পাকিস্তান


১৩ অক্টোবর ২০২২ ২২:২৮

ক্রাইস্টচার্চে শেষ ওভারে বাংলাদেশকে হারালো পাকিস্তান। নির্ধারিত ওভারের এক বল বাকি থাকতেই ৩ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বাবর আজমের দল।

এদিন বাবর-রিজওয়ান জুটিই খেলা শেষ করে ফিরবেন- এমনটাই মনে করছিলেন অনেকে। তবে ১৩তম ওভারে দুর্দান্ত দুটি ডেলিভারিতে দলকে ম্যাচে ফেরান পেসার হাসান মাহমুদ। ৩৭ বলে অর্ধশতক হাঁকানো পাকিস্তান অধিনায়ককে ফেরান তিনি। এরপর এক বল বিরতি দিয়েই স্ট্যাম্প উড়িয়ে দেন হায়দার আলির। তবে ১১তম ওভারে জীবন পাওয়া মোহাম্মদ রিজওয়ান একপ্রান্ত ধরে রেখে দলকে জিতিয়ে দিয়েছেন।

হাসানের ১৮তম ওভারে ১১ রান নিলে জয়ের জন্য প্রয়োজন পরে ১২ বলে ১৪ রানের। ১৯তম ওভার অনিয়মিত বোলার সৌম্য সরকারকে দিয়ে করান সাকিব সে ওভারের ৫ম বলে রিজওয়ানকে আউট করে দেন সৌম্য। ৫৬ বলে চার বাউন্ডারিতে ৬৯ রানে ফেরেন রিজওয়ান। তবে ততক্ষণে জয়ের ভিত গড়ে দিয়ে গেছেন তিনি। এ ওভারে রিজওয়ানের উইকেটসহ ৬ রান দেন সৌম্য। ফলে শেষ ওভারে পাকিস্তানের প্রয়োজন পড়ে ৮ রান।

পরে সাইফউদ্দিনের হাতে বল তুলে দেন সাকিব আল হাসান। কিন্তু নামের সুবিচার করতে পারেননি সাইফ। পর পর তিন বলে দুই রান করে নিয়ে লক্ষ্যের কাছে পৌঁছে যান নওয়াজ। সাইফের ৫ম ডেলিভারিটি বাউন্ডারি হাঁকিয়ে জয় নিশ্চিত করেন নওয়াজ।

এর আগে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। নাজমুল শান্তর সঙ্গে ইনিংস শুরু করেন সৌম্য সরকার। কিন্তু দৃশ্যপট পাল্টায়নি। মাত্র ৪ রান করে নাসিম শাহর শিকারে পরিণত হোন সৌম্য। আরেক ওপেনার নাজমুল শান্ত ১৫ বলে ১২ রান করে আউট হন। এরপর অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের সঙ্গে দলের হাল ধরেন লিটন দাস। ৮৮ রানের জুটি গড়ে লিটন ফেরেন ৪২ বলে ৬৯ রানের ইনিংস খেলে। আর ৪২ বলে ৬৮ রানের চোখ জুড়ানো ইনিংস খেলেন সাকিব।

শেষ দিকে রাব্বী-সোহানদের দ্রুত বিদায় মন্থর হয় টাইগারদের ইনিংস। ১০ বলে ১১ রান করে সাজঘরে ফেরেন আফিফ। ৬ উইকেটে ১৭৩ রানে থামে বাংলাদেশের ইনিংস।