গোল পেলেন নেইমার-এমবাপ্পে, মেসির জোড়া অ্যাসিস্ট
তিন ম্যাচে ১৭ গোল। প্রত্যেক ম্যাচে সর্বনিম্ন গোল সংখ্যা ৫। নতুন মৌসুমে এমন দাপুটে শুরুই পায় প্যারিস সেইন্ট জার্মেই (পিএসজি)। তবে চতুর্থ ম্যাচে হোঁচট খায় লা প্যারিসিয়ানরা। ঘরের মাঠে ড্র করে মোনাকোর সঙ্গে। পয়েন্ট হারানোর হতাশা ভুলে তুলুজের বিপক্ষে জ্বলে উঠলেন পিএসজির আক্রমণভাগের তিন তারকা। গোল পেলেন নেইমার ও কিলিয়ান এমবাপ্পে এবং জোড়া অ্যাসিস্ট লিওনেল মেসির। আর পিএসজি পায় ৩-০ গোলের বড় জয়।
বুধবার তুলুজের মাঠ মিউনিসিপাল স্টেডিয়ামে গোটা ম্যাচে আধিপত্য দেখায় পিএসজি। ৬৩ শতাংশ বল দখলে রেখে প্রতিপক্ষের গোলবারের উদ্দেশ্যে মোট ২০টি শট নেয় সফরকারীরা। যার মধ্যে ১৩টি শট ছিল লক্ষ্যে।
৩৭ শতাংশ বল দখলে রাখা তুলুজ ১৪টি শটের ৭টি রাখে লক্ষ্যে।
এই ম্যাচে একটি রেকর্ড গড়ে পিএসজি। ফরাসি লিগ ওয়ানে ৬৩ বছর পর মৌসুমের প্রথম পাঁচ ম্যাচে ২১ গোল করার কীর্তি দেখালো লা প্যারিসিয়ানরা। ১৯৫৯-৬০ মৌসুমে রেসিং ক্লাব ডে ফ্র্যান্স ফুটবল (আরসি প্যারিস) এই রেকর্ড গড়েছিল।
অষ্টাদশ মিনিটে নুনো মেন্দেজের পাস বক্সের বাইরে খুঁজে পায় মেসিকে। আর্জেন্টাইন সুপারস্টারের শট অল্পের জন্য লক্ষ্যে থাকেনি। সাত মিনিট পর বক্সের ভেতর থেকে মেসির শট ঝাঁপিয়ে ঠেকান তুলুজ গোলরক্ষক ম্যাক্সিম ডুপে। ৩৬তম মিনিটে এমবাপ্পেকে হতাশ করে জাল অক্ষত রাখেন এই ফরাসি গোলরক্ষক। এক মিনিটের ব্যবধানে অবশ্য নেইমারের কাছে পরাস্ত হন ম্যাক্সিম। মেসির থ্রু বল ধরে দারুণ শটে লক্ষ্যভেদ করে ব্রাজিলিয়ান তারকা। লাইন্সম্যান শুরুতে অফসাইডের পতাকা তুললেও ভিএআরে বদলায় সিদ্ধান্ত। ১-০ গোলে এগিয়ে বিরতিতে যায় পিএসজি।
দ্বিতীয়ার্ধের চতুর্থ মিনিটে মেসির ফ্রি কিক ঝাঁপিয়ে ঠেকান তুলুজ গোলরক্ষক ম্যাক্সিম। পরের মিনিটে মেসির পাসে ব্যবধান বাড়ান এমবাপ্পে।
শেষ মুহূর্তে স্কোরলাইন ৩-০ করেন পিএসজির স্প্যানিশ ডিফেন্ডার জুয়ান বের্নেত। ম্যাচশেষে লেকিপকে দেয়া সাক্ষাৎকারে পিএসজি কোচ ক্রিস্তফ গালতিয়ে বলেন, ‘আমি সন্তুষ্ট। লিও দারুণ দুটি পাস তৈরি করে দিয়েছে। ম্যাক্স (তুলুজ গোলরক্ষক) দারুণ কিছু সেভ করেছে। খেলোয়াড়দের মধ্যে দারুণ বোঝাপড়া রয়েছে। আমাদের দলে দারুণ সব খেলোয়াড় আছে।
ফরাসি লিগ ওয়ানে ৫ ম্যাচে ৪ জয় ও ১ ড্রয়ে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে পিএসজি। দুইয়ে থাকা লঁসের পয়েন্টও ১৩। গোল ব্যবধানে এগিয়ে পিএসজি।