ইনজুরিতে ১৩ জন, দুর্বল জিম্বাবুয়ে নিয়েও বিসিবির চিন্তা!

বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান আকরাম জানিয়েছেন, ইনজুরির সঙ্গে সম্পৃক্ততা দেশের ক্রিকেটারদের জন্য খুবই সাধারণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। বর্তমানে নাকি তেরো থেকে চৌদ্দ জন ক্রিকেটার ভুগছেন ইনজুরিতে।
বাংলাদেশ ক্রিকেটের পাইপলাইন খুব যে সমৃদ্ধ তা বলা যাবে না, এখনো রয়েছে অনেক ঘাটতি। এরইমধ্যে একসঙ্গে এতোগুলো ইনজুরির বিষয়টি বিসিবিকে স্বাভাবিকভাবেই চিন্তায় ফেলেছে। আকরাম সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ব্যাপারটি খুব গুরুত্ব দিয়ে দেখছে বিসিবি, আর নেয়া হচ্ছে সঠিক পদক্ষেপও।
আকরাম বলেন, ‘ ছয়-সাত মাস আগেই ইনজুরি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আমরা টিম ম্যানেজম্যান্টের সঙ্গে কথা বলেছিলাম। আসলে এই মুহূর্তে ১৩-১৪ জন ক্রিকেটার ইনজুরিতে রয়েছেন। বিষয়টি আমাদের জন্য খুব সিরিয়াস। কারণ আমাদের কাছে অপশন খুবই কম থাকে। আমাদের চেষ্টার কোনও কমতি নেই, সঠিক সিন্ধান্ত নিতে বিসিবি চিন্তা-ভাবনা করছে। তবে এটা আমাদের জন্য বেশ কঠিন।
ক্ষেত্রে প্রতিটি পদক্ষেপ যথেষ্ট গুরুত্ব সহকারে নিতে হবে বলেও জানিয়েছেন বিসিবির এই কর্মকর্তা। বিশেষ করে কোন ক্রিকেটারকে কখন খেলানো যাবে সেই সিদ্ধান্তই নিতে হবে বিসিবিকে বিচক্ষণতার সাথে। আকরাম খানের ভাষায়,
‘প্রত্যেকটা পদক্ষেপ আমাদের অনেক গুরুত্বের সাথে নিতে হবে। কোন প্লেয়ারকে খেলানো যাবে কাকে যাবেনা, আবার এর মধ্যে আমাদের দলেরও জিততে হবে। সব কিছু নিয়ে আমরা বসছি, কিছু খেলোয়াড় আছেন যারা খুব দ্রুত সেরে উঠবেন।’
অবশ্য সাকিব তামিমরা দ্রুতই ফিরছেন না সেটাও জানিয়ে দিয়েছেন সাবেক এই টাইগার অধিনায়ক। বলেছেন, ‘হয়তো সাকিব-তামিমেরটা একটু সময় লাগবে। বাকিদের ইনশাল্লাহ পরিকল্পনা মত করলে এরই মধ্যে আমরা দেখতে পাব। তবে এর মধ্যে আবার কেউ গুরুতর ইনজুরিতে পড়লে তখন কিছু করার থাকবেনা।’
তবে সিনিয়র ক্রিকেটারদের কথা চিন্তা করার পাশাপাশি ম্যাচ জয়ে ভূমিকা রাখতে পারদর্শী ক্রিকেটারদেরকেও যে প্রাধান্য দিতে হবে সেটাও মানছেন আকরাম খান। বলেছেন, ‘এই মুহূর্তে যারা সিনিয়র ক্রিকেটার আছেন বা ইনজুরিতে যারা আছেন ওদের কথা চিন্তা করব এবং সেই সঙ্গে ম্যাচ জেতার জন্য আমাদের কোন খেলোয়াড়দের খেলাতে হবে সেটাও মাথা রাখতে হবে। এখন মনে করেন তরুন যাদের সুযোগ দেয়া হবে ওরা যদি ভালো খেলে সেটা অন্য ব্যাপার। কিন্তু রিস্ক নেয়া যাবে।’