ঢাকা রবিবার, ২০শে এপ্রিল ২০২৫, ৮ই বৈশাখ ১৪৩২


পাকিস্তানকে ১৭ গোলে উড়িয়ে দিল বাংলাদেশ


১ অক্টোবর ২০১৮ ০৭:৫৭

অনূর্ধ্ব-১৮ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ ফুটবলে পাকিস্তানকে ১৭-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। প্রথমার্ধে ৮-০ এগিয়ে থেকে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশি কিশোরীরা। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে এ বিশাল জয়ে অনূর্ধ্ব-১৮ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ ফুটবলে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে তরুণীরা।

দ্বিতীয়ার্ধে খেলতে নেমে বাংলাদেশের কিশোরীরা আরও দ্বিগুনভাবে জ্বলে ওঠে। শেষার্ধে আরও নয়টি গোল করেন লাল-সবুজের জার্সিধারীরা।

রোববার (৩০ সেপ্টেম্বর) ভুটানের মাটিতে মারিয়া-আঁখিরা এবার সাফ অনূর্ধ্ব-১৮ টুর্নামেন্ট জয়ের মিশনে মাঠে নেমেছেন। এবারও লাল-সবুজ দলের গ্রুপসঙ্গী নেপাল ও পাকিস্তান। তাই রোববার (৩০ সেপ্টেম্বর) পাকিস্তানকে হারিয়ে এরই মধ্যে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ।

দলের প্রায় অর্ধেক গোল করেছেন সিরাত জাহান স্বপ্না, হ্যাটট্রিক করেছেন মার্জিয়াও। গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লড়াইয়ে পরের ম্যাচে তারা আগামী মঙ্গলবার খেলবে নেপালকে।

দেড় মাস আগে এই ভেন্যুতেই অসাধারণ পারফরম্যান্স করে সাফের ফাইনালে উঠেছিল বাংলাদেশের অনূর্ধ্ব-১৫ দল। কিন্তু ভারতের কাছে হেরে শিরোপা উৎসব করা হয়নি তাদের। তার আগে গ্রুপেও পাকিস্তানের সঙ্গে দেখা হয়েছিল তাদের, যেখানে ১৪-০ গোলের উড়ন্ত জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ।

প্রথমার্ধে পাকিস্তানের জালে ৮ গোল দেয় বাংলাদেশ। আর পরের ৯টি এসেছে শেষার্ধে। সিরাত জাহান স্বপ্না, মার্জিয়া ও কৃষ্ণরানী সরকারের আক্রমণভাগে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে পাকিস্তানের রক্ষণভাগ ও গোলপোস্ট। মাত্র ৭ মিনিটে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। ডানপ্রান্ত থেকে স্বপ্নার বাড়িয়ে দেওয়া পাসে গোলমুখ খোলেন মার্জিয়া। ৩ মিনিট পর শিউলি আজিমের হেড থেকে ডিবক্সে বল পেয়ে সহজেই জালে জড়ান স্বপ্না। ১৩ মিনিটে তিনি মার্জিয়াকে দিয়ে বানিয়ে দেন তৃতীয় গোল।

দুই মিনিট পর পেনাল্টি পায় বাংলাদেশ, খুব সহজে লক্ষ্যভেদ করে গোলদাতার খাতায় নাম লিখেন ডিফেন্ডার শিউলি আজিম। ৩৭ মিনিটে মিসরাত জাহান মৌসুমী করেন সপ্তম গোল। কৃষ্ণরানীর সহজ চেষ্টা গোলরক্ষক ঠেকালেও ধরে রাখতে পারেননি, সুযোগ পেয়েই গোল করেন অধিনায়ক। বিরতিতে যাওয়ার একটু আগে দলের অষ্টম গোল করেন স্বপ্না। ৪৪ মিনিটে কৃষ্ণরানীর শট ক্রসবারে লেগে ফিরে এলে গোলমুখের সামনে থেকে নিজের চতুর্থ গোল করেন বাংলাদেশি ফরোয়ার্ড।।

দ্বিতীয়ার্ধে গোলের দেখা পেতে বেশ সময় লেগেছে বাংলাদেশের। ১৩ মিনিট আঁখি খাতুনের গোলে শুরু হয় আবারও উৎসব। ৫৮ মিনিটে বক্সের ডানপ্রান্ত থেকে কৃষ্ণরানীর লম্বা ক্রস গোলপোস্টের একেবারে সামনে থেকে হেড করে জালে পাঠান তিনি। চার মিনিট পর কর্নার থেকে মার্জিয়া ও কৃষ্ণরানীর সমন্বিত প্রচেষ্টায় স্বপ্না দলের দশম গোল করেন।

৬৯ মিনিটে দ্বিতীয় পেনাল্টি থেকে দলের ১১তম গোল করেন শিউলি। দুই মিনিট পর আঁখির লম্বা ক্রস থেকে বক্সে বল পেয়ে ফাঁকা গোলপোস্টে নিজের চতুর্থ গোল করেন মার্জিয়া। ৭৩ মিনিটে মাসুরা পারভিনের বাড়িয়ে দেওয়া বল নিয়ে একটু সামনে এগিয়ে ডিবক্সের প্রান্ত থেকে উঁচু শটে আবারও লক্ষ্যভেদ করেন স্বপ্না। পরের মিনিটে ডিফেন্ডারদের কাছ থেকে বল কেড়ে নিয়ে স্বপ্না পাস দেন কৃষ্ণরানীকে। খুব সহজেই দলের ১৪তম গোল করেন তিনি। ক্রসবারে লাগা শট ফিরে এলে ৭৬ মিনিটে স্বপ্না করেন নিজের সপ্তম গোল।

৭২ মিনিটে মৌসুমীর বদলি হয়ে মাঠে নামা তহুরা খাতুন ৮৭ মিনিটে গোল পান। খেলা শেষ হওয়ার মুহূর্তে কর্নার থেকে ছুটে আসা বল জটলার মধ্যে থেকেই জালে জড়ান স্বপ্না।

এমএ