ফের মন্ত্রিপরিষদ বৈঠকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ৯টি ধারা স্বাধীন সাংবাদিকতার জন্য হুমকি। সম্পাদক পরিষদের এমন দাবির প্রেক্ষিতে বিষয়টি আবারও মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে উপস্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
রোববার (৩০ সেপ্টেম্বর) ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে সম্পাদক পরিষদের সঙ্গে সরকারের তিন মন্ত্রী ও এক উপদেষ্টার বৈঠক শেষে আইনমন্ত্রী এ কথা বলেন।
বৈঠকে আইনমন্ত্রী ছাড়াও তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, প্রধানমন্ত্রীর তথ্যবিষয়ক উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী ও তথ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত সচিব আবুয়াল হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
সম্পাদক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহফুজ আনামের নেতৃত্বে সম্পাদকদের মধ্যে ছিলেন, প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান, যুগান্তর-এর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সাইফুল আলম, নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবির, মানবজমিন সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী, নিউজ টুডে সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ, কালের কণ্ঠ সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন, ইনডিপেনডেন্ট সম্পাদক এম শামসুর রহমান, বাংলাদেশ প্রতিদিন-এর সম্পাদক নঈম নিজাম, ইনকিলাবের সম্পাদক এ এম এম বাহাউদ্দীন, বণিক বার্তার সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ, ঢাকা ট্রিবিউন সম্পাদক জাফর সোবহান, সমকাল-এর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মুস্তাফিজ শফি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আনিসুল হক বলেন, আইনটি ইতোমধ্যে জাতীয় সংসদে পাস হয়েছে। তবে রাষ্ট্রপতি এখনও আইনটিতে স্বাক্ষর করেননি। তাই এসব বিষয়ে আলোচনার জন্য আগামী ৩ অক্টোবরের পরে মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে আইনটি উপস্থাপন করা হবে। মন্ত্রিপরিষদের অনুমতি সাপেক্ষে এসব বিষয়ে সম্পাদক পরিষদসহ সাংবাদিক নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় বসা হবে। আলোচনার মাধ্যমেই জটিলতা দূর হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
উল্লেখ্য, গত ১৯ সেপ্টেম্বর জাতীয় সংসদে বহুল আলোচিত ডিজিটাল নিরাপত্তা বিল পাস হয়। এ আইনের বিভিন্ন ধারা নিয়ে সাংবাদিকদের আপত্তি থাকলেও তা আমলে নেয়া হয়নি। বরং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) আইনের বিতর্কিত ৫৭ ধারাকে ভিন্নভাবে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সংযোজন এবং ঔপনিবেশিক আমলের ‘অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট-১৯২৩’কে এ আইনের ৩২ ধারায় সংযুক্ত করার মাধ্যমে তা গণমাধ্যম কর্মীদের মধ্যে নতুন উদ্বেগ তৈরি করেছে। এদিকে আইন পাস হওয়ার পর সম্পাদক পরিষদসহ সাংবাদিকদের সব সংগঠন এর বিরোধিতা করে।
এসএ