ঢাকা শনিবার, ১৯শে এপ্রিল ২০২৫, ৬ই বৈশাখ ১৪৩২


বড় বাঁচা বেঁচে গেলেন সাকিব


২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০২:৪৯

বড় বিপদ হতে পারত সাকিবের। আঙ্গুলে চোট পেয়েছিলেন অনেক আগেই। অপারেশনের দিন তারিখও প্রায় নির্ধারিত ছিল। এশিয়া কাপের মত গুরুত্বপূর্ণ আসরে নিজেকে বিসর্জন দিলেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান।

এশিয়া কাপে সুপার ফোরের ম্যাচে চোটের ব্যথা গুরুতর হলে দেশে ফেরেন সাকিব। আপাতত সার্জারিতে কেটেছে সে শঙ্কা। তবে আবার অস্ত্রাপচার করতে আঙ্গুলের। ২৬ সেপ্টেম্বর পাকিস্তানের ম্যাচের দিন দেশে ফেরেন সাকিব। তার আঙ্গুলের পরিস্থিতি এতটাই খারাপ ছিল যে আর সময় নষ্ট করার সুযোগ ছিল না। সেদিক থেকে বলা যায়, বড় বাঁচা বেঁচে গেলেন সাকিব।

সংযুক্ত আরব আমিরাতে এশিয়া কাপ খেলতে সাকিব গিয়েছিলেন তার চোট নিয়েই। দেশের প্রতি ভালোবাসা আর দায়িত্ব পালন করতে ব্যাপক ঝুঁকিতে ফেলে দেন নিজেকে। কিন্তু থেমে যেতে বাধ্য হন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সেমিফাইনাল হয়ে উঠা মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আগে।

বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকায় অ্যাপোলো হাসপাতালে সার্জারি হয় সাকিবের। বোলিং করেন যে হাত দিয়ে সেই হাতের অনামিকা থেকে ৬০ থেকে ৭০ মিলিগ্রাম পুঁজ বের করেন চিকিৎসকরা।

নিজেই এই তথ্য জানিয়েছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। জানান, আরেকটু দেরি হলেই অনেক বড় বিপদ হতে পারত।

ফেসবুকেই নিজের শারীরিক অবস্থা জানিয়ে সাকিব লেখেন, ‘আপনাদের দোয়ায় খুব অল্পের জন্য বড় ধরনের বিপদ থেকে এই যাত্রায় রক্ষা পেয়েছি। তবে দ্রতই আরও একটি সার্জারি করাতে হবে। আপনাদের সকলের দোয়া প্রার্থনা করছি। আপনারদোর দোয়া ও ভালবাসায় দ্রুত সুস্থ হয়ে যেন আবারও বাংলাদেশ দলের প্রতিনিধিত্ব করতে পারি। ধন্যবাদ।’

সাকিব আরও লেখেন, ‘হাতের ব্যথায় যখন দল ছেড়ে দেশে ফিরছি তখনও বুঝতে পারিনি এত খারাপ পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হবে। দেশে আসার পর প্রচণ্ড ব্যাথা অনুভব ও হাত অস্বাভাবিক রকম ফুলে যাওয়ায় দ্রুত হসপিটালে এডমিট হয়ে একটি সার্জারি করাতে হয়েছে।’

নিজের শারীরিক অবস্থা নিয়ে একটি বেসরকারি টেলিভিশনকে সাকিব বলেন, ‘পুঁজটা যদি দ্রুত বের করতে না পারতাম, তাহলে পুরো হাতটাই হয়ত নষ্ট হয়ে যেতে পারত। তখন কী করে ক্রিকেট খেলতাম, সেটা জানি না।’

এখন এন্টিবায়োটিক চলছে জানিয়ে সাকিব জানান, কিছুটা সুস্থ হয়ে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে যাবেন। সেখানেই হবে দ্বিতীয় অপারেশন।

এমএ