ঢাকা শনিবার, ১৯শে এপ্রিল ২০২৫, ৬ই বৈশাখ ১৪৩২


ফের হাল ধরবেন মুশফিক


২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০২:৩৫

এশিয়া কাপ ফাইনালে খেলার আশা বাঁচিয়ে রাখতে হারাতেই হবে আফগানিস্তানকে, নতুবা চেয়ে থাকতে হবে অন্য দলগুলোর দিকে। এমন সমীকরণের ম্যাচে ব্যাট হাতে দারুণ শুরু করেছিলেন বাংলাদেশ দলের উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম।

মুশফিক তার ব্যাটসম্যানশিপের চূড়ান্ত দৃষ্টান্ত দেখান পাকিস্তানের বিপক্ষে বাঁচা-মরার লড়াইয়ে। অঘোষিত সেমিফাইনাল ম্যাচটিতে আবারো ঘটে টপঅর্ডার বিপর্যয়। ১৮ রানে সাজঘরে ফিরে যায় তিন ব্যাটসম্যান। নতুন বলে তখন আগুন ঝরাচ্ছেন জুনায়েদ খান, শাহীন আফ্রিদিরা।

এদিকে, ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় হাফসেঞ্চুরিতে মিঠুন ৬০ রান করে ফিরলেও লড়াই চালিয়ে যান মুশফিক। দলকে নিরাপদ সংগ্রহে পৌঁছে দেয়ার মিশনে বেশ সফল ছিলেন তিনি। কিন্তু ব্যর্থ হন টুর্নামেন্টে নিজের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি হাঁকাতে। মাত্র ১ রানের জন্য বঞ্চিত হন ক্যারিয়ারের ৭ম ওয়ানডে সেঞ্চুরি থেকে।

তবে তার ৯৯ রানের ইনিংসেই বাংলাদেশ পায় ২৩৯ রানের লড়াকু সংগ্রহ। যা কিনা নিরাপদ সংগ্রহ হিসেবে প্রমাণিত হয় মোস্তাফিজ, মিরাজদের আঁটসাঁট বোলিংয়ে। ইনিংসের ৫০তম ওভার মেইডেন খেলে অলআউট হওয়া ঠেকান পাকিস্তানি পেসার শাহীন আফ্রিদি। তবে ৯ উইকেটে ২০২ রান করা পাকিস্তান হেরে যায় ৩৭ রানের ব্যবধানে। এ ম্যাচেও যথারীতি ম্যাচসেরা মুশফিকুর রহিম।

এখনও পর্যন্ত খেলা ৪ ম্যাচে মুশফিকুর রহিম হাঁকিয়েছেন ১টি সেঞ্চুরি, আরেক ইনিংসে করেন ৯৯ রান। পঞ্চাশ পেরুতে না পারা অন্য দুই ইনিংসেও ছিল ৩৩ ও ২১ রান। সবমিলিয়ে ৪ ম্যাচে ৭৪.২৫ গড়ে ২৯৭ রান করা মুশফিকই এখনো পর্যন্ত টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক।

শুক্রবার বিকেলে শিরোপা লড়াইয়ে আবারো ভারতের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। সুপার ফোরের ম্যাচে নিষ্প্রভ ছিলো মুশফিকের ব্যাট, করেছিলেন টুর্নামেন্টে নিজের সর্বনিম্ন ২১ রান। ফলে জয়ের দেখা পায়নি টাইগাররা। তবে শিরোপা জিততে হলে ফাইনাল ম্যাচে মুশফিকের ব্যাট হাসার বিকল্প নেই বাংলাদেশের সামনে। কেননা এবারের এশিয়া কাপে মুশফিকের ব্যাট হাসলেই যে হেসেছে বাংলাদেশ!

আরআইএস