ঢাকা শনিবার, ১৯শে এপ্রিল ২০২৫, ৬ই বৈশাখ ১৪৩২


এশিয়া কাপের ফাইনালে বাংলাদেশ


২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ২০:০৬

ছবি সংগৃহীত

পাকিস্তানকে হারিয়ে তৃতীয়বারের মতো এশিয়া কাপের ফাইনালে পৌঁছে গেল টাইগাররা। বুধবার আবুধাবিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে অঘোষিত সেমিফাইনালে ৩৭ রানের জয় নিয়ে ১৪ তম এশিয়া কাপের ফাইনাল নিশ্চিত করে মাশরাফিরা। ফাইনালে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ভারত।

মুশফিক ও মিথুনের ব্যাটে ভর করে এশিয়া কাপের সুপার ফোরের ম্যাচে পাকিস্তানকে ২৪০ রানের টার্গেট দেয় বাংলাদেশ। জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই মাশরাফি বাহিনীর চাপে থাকা পাকিস্তান দলীয় মাত্র ১৮ রানে তিন উইকেট হারিয়ে বসে। চতুর্থ উইকেট জুটিতে শোয়েব মালিক ও ইমাম-উল হক ৬৭ রানের জুটি গড়েন। তখনই সাজঘরে ফিরেন শোয়েব (৩০)। কিছুক্ষণ পর ফিরেন শাদাব খানও (৪)। পরে ইমাম ৮৩ রানের ইনিংস খেলে দলকে এগিয়েও নিয়েছিলেন। তাকে যোগ্য সহায়তা দিয়েছিলেন আসিফ আলী (৩১)। কিন্তু দুজনেই ফিরে গেলে সেই অবস্থা থেকে আর কাটিয়ে উঠতে পারেনি পাকিস্তান।

শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ২০২ রানে থেমে থাকতে হয় সরফরাজ বাহিনীকে। ফলে ৩৭ রানের জয় নিয়ে ১৪ তম এশিয়া কাপের ফাইনাল নিশ্চিত করে বাংলাদেশ। এর আগে ২০১২ ও ২০১৪ সালে ঘরের মাঠে এশিয়া কাপের ফাইনালে উঠেছিল তারা। দু'বার রানার্সআপ হয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিল তাদের।

বাংলাদেশের কাছে এ নিয়ে টানা ৪ ম্যাচে হারল পাকিস্তান। সর্বশেষ ২০১৫ সালে ঘরের মাঠে ৩ ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজে পাকিস্তানকে ধবলধোলাই করে টাইগাররা। এর প্রায় আড়াই বছর পর সাক্ষাতে লাল সবুজ জার্সিধারীদের বিপক্ষে হারের বৃত্তেই থাকল তারা।


বাংলাদেশের পক্ষে বাঁহাতি পেসার মুস্তাফিজুর রহমান ৪৩ রানে চার উইকেট নিয়ে পাকিস্তানের ব্যাটিং ধস নামান। মেহেদী হাসান মিরাজ ২৮ রানে দুটি এবং রুবেল হোসেন, মাহমুদউল্লাহ ও সৌম্য সরকার একটি করে উইকেট পান।

এর আগে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। কিন্তু উদ্বোধনী জুটি তার আস্থার প্রতিদান দিতে পারেনি। দলীয় ৫ রানের মাথায় ০ রানে সাজঘরে ফিরেন সৌম্য। এরপর ১২ রানের মাথায় পরপর দুই উইকেটের পতন। মুমিনুল ৫ রান করে বোল্ড হন শাহিন শাহের বলে। আর ৬ রানে জুনায়েদ খানের শিকারে পরিণত হন লিটন দাস। সেখান থেকে ১৪৪ রানের জুটি গড়েন মোহাম্মদ মিথুন ও মুশফিকুর রহিম। মিথুন ফিরেন ৬০ রানে। তবে অল্পের জন্য সেঞ্চুরি বঞ্চিত হয়েছেন মুশফিক ৯৯ রানে আউট হন তিনি।

পাকিস্তানের হয়ে জুনায়েদ খান ৪টি, শাহিন শাহ আফ্রিদি ও হাসান আলী ২টি শাদাব খান ১টি উইকেট নিয়েছেন।

আরকেএইচ