রাজকীয় বিদায় অধিনায়ক মাশরাফির, জিম্বাবুয়ে হোয়াইটওয়াশ

বাংলাদেশ ক্রিকেটের স্বর্ণযুগের কান্ডারি মাশরাফি বিন মর্তুজা অধিনায়কত্বের শেষ ম্যাচে জিম্বাবুয়েকে ১২৩ হারিয়েছে বাংলাদেশ। এই জয়ে তিন ম্যাচ সিরিজের সবকটিতে বিশাল জয় পেয়েছে টাইগাররা।
এর আগে একমাত্র টেস্টে ইনিংস ও ১০৬ রানের ব্যবধানে হেরে যায় সফরকারী জিম্বাবুয়ে। আগামী ৯ ও ১১ মার্চ মিরপুর শেরেবাংলায় টাইগারদের বিপক্ষে দুই ম্যাচ সিরিজের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে অতিথিরা।
হারলেই হোয়াইটওয়াশ। এমন সমীকরণের ম্যাচে টস জিতে বাংলাদেশকে প্রথমে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ করে জিম্বাবুয়ে।
শুক্রবার সিলেট আন্তজার্তিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে রীতিমতো তাণ্ডব চালান তামিম ইকবাল ও লিটন কুমার দাস। বিকাল চারটায় বৃষ্টি শুরু হওয়ার আগে ৩৩.২ ওভারে ১৮২ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েন তামিম-লিটন।
দুই ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর ফের যখন খেলা শুরু হয় তখন ম্যাচ নির্ধারণ হয় ৪৩ ওভারে। ব্যাটিংয়ে ঝড় তোলেন লিটন দাস। বৃষ্টির আগে ক্যারিয়ারের তৃতীয় সেঞ্চুরি তুলে নেয়া লিটন ছাড়িয়ে যান দেশ সেরা ওপেনার তামিম ইকবালকে।
সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে নিজের আগের গড়া ১৫৪ রানের ইনিংসের রেকর্ড ভেঙে দেশের হয়ে সর্বোচ্চ ১৫৮ রানের ইনিংস খেলেছিলেন তামিম। দুই দিনের ব্যবধানে তার সেই রেকর্ড ভেঙে দেন লিটন দাস।
শুক্রবার ইনিংস শেষ হওয়ার ১৩ বল আগে একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দেন লিটন। সাজঘরে ফেরার আগে ১৪৩ বলে ১৬টি চার ও ৮টি ছক্কার সাহায্যে ১৭৬ রানের ইনিংস খেলেন লিটন। ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ রানের এই ইনিংস খেলার পথে শুধু তামিম ইকবালকেই নয়, কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান ব্রায়ান লারা, রিকি পন্টিং ও কুমার সাঙ্গাকারার মতো তারকা ব্যাটসম্যানদের ছাড়িয়ে যান লিটন।
লিটনের বিদায়ের আগেই ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ১৩তম এবং আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ২৩তম সেঞ্চুরি করেন তামিম ইকবাল। ইনিংসের শুরুতে ওপেন করতে নেমে শেষ বল পর্যন্ত খেলে যান তামিম। আগের ম্যাচে ১৩৬ বলে ১৫৮ রান করা তামিম এদিন খেলেন ১০৯ বলে ৭টি চার ও ৮টি ছক্কায় ১২৮ রানের ইনিংস। লিটন-তামিমের জোড়া সেঞ্চুরিতে ৪৩ ওভারে ৩ উইকেটে ৩২২ রানের পাহাড় গড়ে বাংলাদেশ।
জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে সিকান্দার রাজার ৬১ আর ওয়েসলি মাধেভার ৪২ রানের ইনিংসে ভর করে ৩৭.৩ ওভারে ২১৮ রানে অলআউট হয়। ১২৩ রানের সহজ জয় পায় বাংলাদেশ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলাদেশ: ৪৩ ওভারে ৩২২/৩ (লিটন ১৭৬, তামিম ১২৮*, আফিফ ৭, মাহমুদউল্লাহ ৩)।
জিম্বাবুয়ে: ৩৭.৩ ওভারে ২১৮/১০ (সিকান্দার ৬১, মাধেভার ৪২; সাইফউদ্দিন ৪/৪১)।
ফল: বাংলাদেশ ১২৩ রানে জয়ী।