ঢাকা শুক্রবার, ২৯শে মার্চ ২০২৪, ১৬ই চৈত্র ১৪৩০


নেইমারকে ফেরানোর জন্য বেশি আগ্রহী ছিলেন মেসি


৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০৫:৪৫

ছবি সংগৃহিত

পিএসজি ছেড়ে দিতে চান- এ কথা নিজ মুখেই জানিয়েছিলেন নেইমার। সে কারণেই ২ সেপ্টেম্বর ইউরোপিয়ান দল বদলের বাজার বন্ধ না পর্যন্ত নেইমারকে ফিরে পেতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যায় বার্সেলোনা। কিন্তু পিএসজির সঙ্গে চুক্তিতে পৌঁছাতে পারেনি কাতালান ক্লাবটি এবং শেষ পর্যন্ত নেইমারকেও পার ফিরে পাওয়া হলো না।

নেইমারকে ফেরানোর জন্য সবচেয়ে বেশি আগ্রহী ছিলেন বার্সার সিনিয়র খেলোয়াড়রা। মেসি, সুয়ারেজ, পিকেরা ছিলেন নেইমারকে ফেরানোর আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত। বিশেষ করে মেসি। তিনি খুবই চাপ প্রয়োগ করেছিলেন বার্সা কর্মকর্তাদের ওপর নেইমারকে ফিরিয়ে আনার জন্য।

শেষ পর্যন্ত যখন ব্রাজিলিয়ান এই তারকাকে ফেরানো গেল না, তখন বার্সার ড্রেসিংরুমে একটা অস্বস্তি বিরাজ করছে। খেলোয়াড়দের মধ্যে দেখা দিয়েছে অসন্তোষ। বিশেষ করে, মেসি-সুয়ারেজরা এ প্রসঙ্গে তাদের নিজেদেরকে পুরোপুরি অপমানিত বোধ করছেন। মাদ্রিদ ভিত্তিক বিখ্যাত ক্রীড়া দৈনিক মার্কা দিয়েছে এ খবর।

মার্কা বলছে, মেসিসহ বার্সার সিনিয়র ফুটবলাররা মনে করছেন- নেইমারকে নিয়ে যে খেলা পিএসজির সঙ্গে বার্সা খেলেছে তা ছিল পুরোপুরি লোক দেখানো। মেসিরা নেইমারকে ফেরাতে বলার কারণে বার্সা নানা অজুহাতে শেষ পর্যন্ত সময় ক্ষেপণ করেছে শুধু। কিন্তু তাকে ফিরিয়ে আনার কার্যকর কোনো চেষ্টা করেনি।

কোচ আর্নেস্তো ভালভার্দের হাতেও এখন কোনো সুযোগ নেই এ বিষয়ে কিছু করার। তবে, তিনি শুধু পারেন তার খেলোয়াড়দের অনুপ্রাণিত করতে। কিন্তু যেখানে বার্সার খেলোয়াড়রাই মনে করছেন, তারা নেইমারকে ফেরানোর জন্য ইচ্ছুকই ছিল না- তখন ভালভার্দে এ ক্ষেত্রে কিই বা অনুপ্রাণিত করতে পারেন খেলোয়াড়দের!

বিখ্যাত এমএসএন ত্রয়ী আবারো একসঙ্গে হবে- এ চিন্তাতেই বিভোর ছিল বার্সা ফুটবলাররা। এ কারণে তারা সরাসরি বার্সা সভাপতি হোসে মারিয়া বার্তেম্যুকে অনুরোধ করেছিল নেইমারকে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত যখন বিষয়টা আর ঘটলো না, তখন কাতালান ক্লাবটির খেলোয়াড়রা উপলব্ধি করলো, কর্তৃপক্ষ যা করেছে তা কেবল তাদেরকে খুশি করার জন্যই করেছে।

একই সঙ্গে বার্সেলোনার ক্রোয়েশিয়ান খেলোয়াড় ইভান রাকিটিকও খুব অখুশি ক্লাব কর্মকর্তাদের ওপর। কারণ, নেইমারকে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে তাকেই ব্যবহার করতে চেয়েছিল বার্সা। এমনকি কোচ আর্নেস্তো ভালভার্দে লা লিগার শুরুতেই তাকে স্কোয়াডে পর্যন্ত রাখেননি।

অন্যদিকে বার্সা খেলোয়াড় ওসমান ডেম্বেলের পেশাদারিত্ব নিয়েও প্রশ্ন উঠে গেছে। তিনি এখনও পর্যন্ত তার নিজের পেশাদার আচরণের উন্নতি ঘটাতে পারেননি। এছাড়া লা লিগার তিন ম্যাচে একটি জয় এবং মাত্র ৪ পয়েন্ট পাওয়ার কারণে, দলটা যে পুরোপুরি মেসি নির্ভর- সেটা আবারও প্রমাণ হয়ে গেলো। মেসি না থাকলে যে বার্সা কি করবে- সেটাই এখন চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।