সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে সাইফের সেঞ্চুরি

প্রথম ম্যাচে ১৮৬ রানের বড় ব্যবধানে পরাজয় এবং দ্বিতীয় ম্যাচে ২ উইকেটের রোমাঞ্চকর জয়। শ্রীলঙ্কা ইমার্জিং ক্রিকেট দলের বিপক্ষে বাংলাদেশের তরুণদের তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজটি এখন সমতায়। সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয়েছে দুই দল।
আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ২৬৯ রান করতে পেরেছে বাংলাদেশ ইমার্জিং ক্রিকেট দল। সিরিজটি জিততে হলে লঙ্কানদের আটকে রাখতে হবে ২৬৯ রানের আগেই। সেঞ্চুরি করেছেন সাইফ হাসান, আফিফ হোসেন ধ্রুব খেলেছেন ঝকঝকে হাফসেঞ্চুরির ইনিংস।
টস হেরে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশ দলের শুরুটা তেমন আশাব্যঞ্জক ছিলো না। মারকুটে ওপেনার নাইম শেখ সাজঘরে ফিরে যান ব্যক্তিগত ৬ রানের মাথায়। দ্বিতীয় উইকেটে নাজমুল হোসেন শান্তকে নিয়ে ৭৪ রান যোগ করেন সাইফ হাসান। দলীয় ৮৩ রানের মাথায় শান্ত আউট হন ৩৯ রান করে।
বেশি কিছু করতে পারেননি ইয়াসির আলি রাব্বি। প্রায় ৫ ওভার উইকেটে থেকে একাই খেলেন ২৪ বল, করতে পারেন মাত্র ৯ রান। তবে চতুর্থ উইকেটে আফিফ হোসেন ধ্রুবর সঙ্গে জমে যায় সাইফের জুটি। দুজন মিলে ১৯.৩ ওভারেই গড়েন ১২৫ রানের জুটি।
শুরুতে দেখে শুনে খেলা সাইফ হাত খুলে খেলেন পরের দিকে। ব্যক্তিগত অর্ধশত করতে ৮৭ বল খরচ করেন তিনি। তবে পরের ৫০ করেন মাত্র ৩৫ বলে। সবমিলিয়ে ৪৫তম ওভারে সাজঘরে ফেরার আগে ৪ চার ও ৭ ছক্কার মারে ১৩০ বলে ১১৭ রান করেন ডানহাতি এ ওপেনার।
সাইফ ফিরে গেলেও ইনিংসের ফিনিশিংটা ঠিকঠাক দেন তরুণ অলরাউন্ডার আফিফ। ইনিংসের শেষপর্যন্ত অপরাজিত থেকে ৭০ বলে ৬৮ রান করেন তিনি। এছাড়া ইয়াসির আরাফাত মিশু ১১ বলে ১৩ রান করলে ২৬৯ রানে থামে দলের ইনিংস।