সরকার উন্নয়ন প্রচারে করব স্যোশাল মিডিয়ায়

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সরকার ব্যাপক উন্নয়নমূলক প্রচার করতে স্যোশাল মিডিয়াকে ব্যবহার করতে চায়।

সরকারের দশ বছরের অর্জন প্রচারের সঙ্গে সঙ্গে সকল প্রকার অপপ্রচার, গুজব রোধে বেতার, টেলিভিশনসহ ফেসবুক, ইউটিউব ব্যবহারের ওপর সংশ্লিষ্টদের জোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ এবং দফতরের তথ্য কর্মকর্তাদের নিয়ে অনুষ্ঠিত সভায় এসব নির্দেশনা পেয়েছেন তারা।

বর্তমানে ভার্চুয়াল জগতে ইন্টারনেটের ব্যবহার বেড়ে যাওয়াতে তরুণ সমাজ মুহূর্তের মধ্যে সব তথ্য পেয়ে যাচ্ছে এবং প্রভাবিতও হচ্ছে।

এসব গুজব ঠেকানোর পাশাপাশি সরকারের সকল সাফল্য প্রচারের উদ্যোগ নিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, দফতর, বিভাগের তথ্য কর্মকর্তাদের পাশাপাশি সংশ্লিষ্টদের নিয়ে গত ৩ সেপ্টেম্বর বৈঠক করে বেশ কয়েক দফা নির্দেশনা দেওয়া হয়।

বৈঠকে অংশ নেওয়া একাধিক জনসংযোগ কর্মকর্তা বলেন, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের তথ্য কর্মকর্তাদের কাছে সরকারের সাফল্যের কৌশল জানতে চাওয়া হয়। বিস্তারিত আলোচনা শেষে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ও এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক আমাদেরকে বেশ কয়েক দফা নির্দেশনা দেন।

এসব নির্দেশনার মধ্যে রয়েছে, সরকারের ১০ বছরের সাফল্য নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করতে হবে। উন্নয়নমূলক কাজের প্রচারের জন্য সংবাদকর্মী দের সাথে প্রত্যেকটি প্রকল্প ভিজিট, স্ব স্ব মন্ত্রণালয়ের রির্পোটারদের মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ তথ্য জানাতে প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করতে হবে।

প্রচারণা চালাতে ফেসবুকের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে বলে জানান এক কর্মকর্তা।

তিনি জানান, মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট এবং ফেসবুক নিয়মিত আপডেট করার নির্দেশ দেওয়া হয়। প্রয়োজনে ফেসবুকে বুস্টিং করতে বলা হয়। মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে ১০ বছরের সাফল্য আপলোড করতে হবে বলেও জানানো হয়।

এক তথ্য কর্মকর্তা বলেন, মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট কোনো অপপ্রচার বা গুজব সৃষ্টি করা হলে সাথে সাথে কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে ফেসবুকে সঠিক তথ্য তুলে ধরতে হবে। প্রেস ব্রিফ, ফেসবুক, ইউটিউবসহ সব সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করতে নির্দেশনা দেয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়।

এসএমএন

---