ভোলায় ঈদে প্রতিবন্ধি শিশুর মুখে হাসিঁ ফোটালেন প্রবাসী কাসেম

পরিবারটি খুবই অসহায়, কোন রকমের বেচেঁ আছে। দিন এনে দিন খায়, জমি অল্প ছোটখাটো ভাঙ্গা-চুড়া ঘর সেখানেই বসবাস প্রতিবন্ধি শিশু ও তার দাদার। প্রতিদিন দাদা-নাতি এক বিছানায় ঘুমায়। সময়টি সম্ভবত দাদা-নাতির হাসিঁ মাখা দিয়েই চলে যাচ্ছে।
গতকাল সোমবার সামাজিক যোগাযোগ ফেসবুকে ছবিটি ভাইরাল হয়, এরপর ছবিটি চোখে পড়ে আবুল কাসেম নামে একজন প্রবাসি ভাইর। ফেসবুকে কথা বলে তাৎক্ষনিক জামা কাপড়, ঈদ খরচ, পোষাক পাঠিয়ে দেন এই অসহায় প্রতিবন্ধি শিশুর বাড়িতে।
কথা আছে, সৌদিআরবের রৌদ্র সম্ভবত মরুভুমি, দুটি পয়সা আয় করেন, তার কিছু টাকা অসহায় গরিবের পিছনে ব্যয় করেন প্রবাসি আবুল কাসেম।
খোজ নিয়ে জানাযায়, প্রবাসি আবুল কাসেমের বাড়ি ভোলার উত্তর দিঘলদী ইউনিয়নে। তিনি প্রায় সময়ই এলাকার অসহায় মানুষের সেবাসহ আর্থিক সহযোগিতা করেন এবং এলাকার মসজিদ মাদ্রাসায়ও আর্থিক সাহায্য করেন বলে জানান এলাকাবাসি।
প্রতিবন্ধি শিশুর পরিবার জানান, ঈদ আসছে কেউ জিজ্ঞেস করে না। আমরা গরিব বলেই আমাদের ঈদ হয় না। এলাকায় অনেক টাকা পয়সা মানুষ আছে, কিন্তু কখনই আমাদের কিছু দেয় না। আজ সকালে প্রবাসি আবুল কাসেম নামের এক ব্যক্তির ঈদ পোষাক পেয়ে অনেক খুশি, আল্লাহ এই ব্যক্তিকে আরো সম্পদ বাড়িয়ে দিক। সে যেন আমাদের মতো অসহায় মানুষের পাশে থাকতে পারে।
মোবাইলের ম্যাঞ্জোরে কথা হয় প্রবাসি আবুল কাশেমের সাথে তিনি নতুনসময়কে জানান, প্রবাসি জীবন বুজেন তো অনেক কষ্টের। ঈদে পরিবারের মুখে হাসিঁ ফুটিয়ে তুলতে হয়। আমরা শত কষ্টের থাকলেও পরিবারকে বুজতে দেয় না। মাস শেষে বেতন পেলে দেশে পাঠাই টাকা। কিন্তু বছরে একটি আনন্দের দিন হলো ঈদ। আমরা আনন্দ উৎসব করলেও বাড়ির পাশে অসহায় ব্যক্তিরা রয়েছে, তাদেরও ঈদ করতে মনে চায়, তাই সবাই আনন্দ ভাগাভাগি করে নেই।’
নতুনসময়/আল-এম