ঢাকা বৃহঃস্পতিবার, ২৮শে মার্চ ২০২৪, ১৫ই চৈত্র ১৪৩০


টিউশনির টাকা দেয়নি, চোখের পানিতে ঈদ হচ্ছে শিক্ষার্থীর


৪ জুন ২০১৯ ০০:৫৯

সংগৃহীত

পরিবারের সামর্থ্য না থাকায় টিউশনি করেই খরচ চলে সদ্য স্নাতকোত্তর শেষ করা মো: হাশেম হাসানের। তবে এবার ঈদের আগে টিউশনির টাকা না পাওয়ায় তিল লি করে জমানো প্লাস্টিকের ব্যাংকটাকে কেটে ফেললেন তিনি। দুঃখ আর কষ্ট নিয়েই বাড়িতে মা-বাবার সাথে ঈদ করতেই যে টাকা পাওয়া গিয়েছে সেটা দিয়েই বাড়ি যাবেন তিনি। তাঁর মত এমন আরও অনেক টিউটর আছে যারা এই দুর্ভোগে পড়েছেন।

তাঁর স্ট্যাটাসে শিবলী নোমান নামে একজন কমেন্টস করেছেন, আপনারা সংগ্রাম করেন। মিছিল বের করেন যে, ‘টিউশনির টাহা লই, সোদর বোদর সইলতো নো।’ মো আশরাফুলে ইসলাম নামে একজন বলেছেন, মানুষ এমন কেন?ওদের কি আল্লাহ মানুষের মন বুঝার মত ক্ষমতা দেয় নি?।

শুধু টিউশনি কিংবা খণ্ডকালীন চাকরিই নয়, অনেকে পড়াশুনার পাশাপাশি পূর্ণকালীন চাকরিও করেন। কিন্তু এ ধরণের অনেক প্রতিষ্ঠানও ঈদের আগে তাদের বেতন দেয় নি। ফলে গ্রামের বাড়িতে প্রিয়জনের জন্য কিছু কেনার আশা থাকলেও তা পূরণ হয়নি অনেকের। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকেন্দ্রীক গ্রুপেও এ নিয়ে হতাশাজনক পোস্ট দিচ্ছেন অনেকে।

তবে টিউশনি, খণ্ডকালীন চাকরি কিংবা স্বল্প বেতনে যারা পূর্ণকালীন চাকরি করেন ঈদের মতো উৎসবের সময়গুলোর আগে তা পরিশোধ করে দেওয়া মালিকপক্ষের নৈতিক দায়িত্ব বলে অনেকে মনে করেন।

টিউশনি কিংবা খণ্ডকালীন চাকুরেরা কোনো মাসে টাকা পেতে সামান্য দেরি হলেই তাদের কষ্টটা কয়েকগুণ বেড়ে যায়। অনেকে টাকার অভাবে ঈদে বাড়ি পর্যন্ত যেতে পারেন না। এজন্য মালিকপক্ষের উচিৎ এ টাকা সময়মতো পরিশোধ করা। এতে অন্তত ওই ছাত্রগুলো কষ্ট পাবেন না।’

নতুনসময়/আল-এম