ঢাকা শুক্রবার, ২৯শে মার্চ ২০২৪, ১৬ই চৈত্র ১৪৩০


ঈদে জমে ওঠেছে পুরান ঢাকার শপিংমলসহ ফুটপাত


৩১ মে ২০১৯ ২২:৫৮

নতুনসময় ছবি

ঈদের বাকি আর মাত্র কয়েকদিন। শেষ মুহুর্তে অনেকেই তাদের পছন্দের কেনাকাটা সেরে নিচ্ছেন। প্রতিটি শপিংমল থেকে শুরু ফুটপাতে জমে উঠেছে ঈদের বাজার। শপিংমলগুলোতে ক্রেতাদের এখন উপচে পরা ভিড়।

শুক্রবার (৩১ মে) রাজধানীর পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহি ইসলামপুর , রাজধানীসহ কয়েকটি শপিংমলগুলোতে মানুষের জমজমাট হয়ে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা। ছুটির দিন থাকায় অনেকেই পরিবারের সদস্যদের নিয়ে শেষ মুহুর্তের কেনাকাটা শেরে নিচ্ছেন।

পুরান ঢাকার শপিংমলগুলোতে অন্যান্য জায়গা থেকে তুলনামূলক দাম কম থাকায় সাধারণ মানুষ ভিড় এই মার্কেটগুলোতে। ক্রেতা চাহিদা পূরণে দেশীয় কাপড়ের পাশাপাশি ভারত ও চীন থেকে আনা কাপড়ে দোকান সাজিয়েছেন দোকানীরা। বৈচিত্র্যময় পণ্য ও সুলভ মূল্যের কারণে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কাপড় কিনতে আসছেন খুচরা ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা। বিভিন্ন রং ও ধরনের কাপড়ের সমারোহ, গুণগত মান ও সুলভ মূল্য হওয়ায় সব শ্রেণির ক্রেতার কাছে জনপ্রিয় পুরান ঢাকার ইসলামপুর ও বঙ্গবাজার, রাজধানীসহ অনেক শপিংমল। সারা বছরই এখানে থাকে পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীদের ভিড়।

ঈদকে সামনে রেখে পাড়া মহল্লার হকারই শুধু নয়, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা খুচরা ক্রেতা-বিক্রেতাদের পদচারণায় জমজমাট হয়ে ওঠেছ এসব সবগুলো মার্কেট। দেশি-বিদেশি সব ধরনের কাপড় পাওয়া যাচ্ছে তবে ভারত ও চীনা কাপড়ের প্রাধান্য তুলনামূলক বেশি। মেয়েদের থ্রিপিস, শাড়ি, ছেলেদের প্যান্ট, শার্ট ও পাঞ্জাবিসহ সব ধরনের কাপড়ে সমারোহ থাকায় এখানে কেনাকাটায় স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন অনেকেই।

একজন ব্যবসায়ী নতুনসময়কে জানান, রমজাম মাসের সকালে ৮ সাড়ে থেকে রাত ১২ পর্যন্ত দোকান খোলা রাখা হয়। ঈদের আর কয়েকদিন বাকি আছে সবাই ঘরমুখো হচ্ছেন। তাই প্রথম দিকের চাইতে একটু বেচা বিক্রি কম হচ্ছে। এদিকে ঈদে পোশাকের পর সবচেয়ে বেশি চাহিদা থাকে নতুন জুতায়। আর গত কয়েক বছরে দেশে এ বাজার দ্রুত সম্প্রসারিত হয়েছে।

রাজধানীর অলিগলিতে এখন জুতা প্রস্তুতকারী দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর শোরুম দেখা যায়। আবার ঈদকে সামনে রেখে নতুন বিক্রয়কেন্দ্র চালু করেছে অনেক প্রতিষ্ঠান। পুরান ঢাকার ইসলামপুর বাজারে এক বিক্রেতা নতুন সময়কে বলেন, এই বাজারগুলো পাইকারি সামগ্রিই বেশী বিক্রি হয়। তবে রোজার শেষের দিকে খুচরা সামগ্রিক পণ্য বেশী বিক্রয় হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, তুলনামূলক বিক্রি ভালো হচ্ছে। তবে আরেক দল বিক্রেতাদের অভিযোগ তাদের এবারে ঈদে খুব একটা ভাল বেচা বিক্রি হয়নি। তবে স্বল্প আয়ের মানুষের চাহিদা মেটায় নন-ব্র্যান্ড। ফুটপাতসহ বিভিন্ন মার্কেটে প্রচুর ছোট-বড় নন-ব্র্যান্ডের দোকান রয়েছে। সে সবেও বিক্রি ভালো। এছাড়াও ওইসব এলাকায় অ্যাপেক্স, বাটা, বে, ওয়াকার, ফরচুনার মতো ব্র্যান্ডের জুতার দোকানে বেশ ভিড় লক্ষ করা গেছে।

অন্যদিকে ঈদের কেনাকাটায় পোশাক-জুতার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে স্মার্ট মোবাইল ফোন, আসবাব, স্বর্ণের গহনা, রেফ্রিজারেটর, মোটরসাইকেল এমনকি গাড়ি। এড়াছাও ক্রেতাদের আকর্ষণ বাড়াতে মোবাইল কোম্পানিসহ অনেকেই দিচ্ছেন নানা রকমের অফার।

নতুনসময়/আল-এম