ঢাকা বৃহঃস্পতিবার, ২৫শে এপ্রিল ২০২৪, ১৩ই বৈশাখ ১৪৩১


সে দিন তুর পাহাড়ে যা ঘটেছিল


২৯ মে ২০১৯ ২৩:২৭

প্রাচীনকাল থেকেই সৌন্দর্যের লীলাভূমি হিসেবে স্বীকৃত মিসর। যুগে যুগে দর্শনার্থীদের বিচরণভূমি হিসেবে পরিচিত। বর্তমানে পর্যটন খাত মিসরের অর্থনীতি সচল রাখার ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

মিসরের যেসব স্থান পর্যটকদের আকর্ষণ করে এর অন্যতম হলো- তুরে সাইনা বা তুর পাহাড়।

তুর পাহাড়ে হজরত মুসা (আ.) আসমানি কিতাব তাওরাত লাভ করেছিলেন। আল্লাহতায়ালা সূরা আরাফে তা উল্লেখ করেছেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘আমি মুসার জন্য ত্রিশ রাতের মেয়াদ স্থির করেছিলাম (এ রাতসমূহে তুর পাহাড়ে এসে ইতিকাফ করবে)। তারপর আরও দশ রাত বৃদ্ধি করে তা পূর্ণ করি। এভাবে তার প্রতিপালকের নির্ধারিত মেয়াদ চল্লিশ দিন হয়ে গেল এবং মুসা তার ভাই হারুনকে বলল, আমার অনুপস্থিতিতে তুমি সম্প্রদায়ের মধ্যে আমার প্রতিনিধিত্ব করবে, সবকিছু ঠিকঠাক রাখবে এবং অশান্তি সৃষ্টিকারীদের অনুসরণ করবে না। মুসা যখন আমার নির্ধারিত সময়ে এসে পৌঁছল এবং তার প্রতিপালক তার সঙ্গে কথা বললেন, তখন সে বলল, হে আমার প্রতিপালক! আমাকে দর্শন দিন আমি আপনাকে দেখব। তিনি বললেন, তুমি আমাকে কিছুতেই দেখতে পাবে না। তুমি বরং পাহাড়ের প্রতি দৃষ্টিপাত কর। তা যদি আপন স্থানে স্থির থাকে, তবে তুমি আমাকে দেখতে পারবে। অতপর যখন তার প্রতিপালক পাহাড়ে তাজাল্লি ফেললেন ( জ্যোতি প্রকাশ করলেন) তখন তা পাহাড়কে চূর্ণ-বিচূর্ণ করে ফেলল এবং মুসা সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়ে গেল। পরে যখন তার সংজ্ঞা ফিরে আসল, তখন সে বলল, আপনার সত্তা পবিত্র। আমি আপনার দরবারে তওবা করছি এবং (দুনিয়ায় কেউ আপনাকে দেখতে সক্ষম নয়- এ বিষয়ের প্রতি) আমি সবার আগে ঈমান আনছি।’ -সূরা আরাফ: ১৪২-১৪৩

তুর পাহাড় মিসরের দক্ষিণ সাইনা জেলায় অবস্থিত। সাইনার মূল শহরের নাম ‘আত তুর’। বড় শহরের নাম- শারমুশ শাইখ। পাহাড়টির উচ্চতা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ২২৮৫ মিটার। এই পাহাড়কে জাবালে মুসা নামে নামকরণ করা হয়েছে। এই পাহাড়ের পাদদেশে হজরত মুসা (আ.)-এর ভাই হজরত হারুন (আ.)-এর কবর রয়েছে। তুর পাহাড়ের কথা কোরআনে কারিমের কয়েক জায়গায় এসেছে।

তবে যে পাহাড়টি আল্লাহর নূরের তাজাল্লিতে চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়েছিলো তা তুর পাহাড় থেকে উত্তর-পূর্বে অবস্থিত। ব্যাপক অনুসন্ধান এবং অনেক গবেষণার পর এটা প্রমাণিত হয়েছে। এই স্থানেই আল্লাহতায়ালা হজরত মুসা (আ.) কে তার নূরের তাজাল্লি দেখিয়েছিলেন। ফলে তৎক্ষণাৎ হজরত মুসা (আ.) জ্ঞান হারিয়েছিলেন। যা কোরআনে কারিমে ইরশাদ হয়েছে।


নতুনসময়/এনএইচ