ঢাকা বৃহঃস্পতিবার, ২৮শে মার্চ ২০২৪, ১৫ই চৈত্র ১৪৩০


মোহনপুরের মন্দিরে মন্দিরে চলছে স্বরসতী পূজার প্রস্তুতি


২৪ জানুয়ারী ২০২০ ০৬:১৩

ছবি সংগৃহীত

আসছে স্বরসতী পূজাকে সামনে রেখে রাজশাহীর বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক প্রস্তুতি চলছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মাঝে। স্বরস্বতীর প্রতিমা বানাতে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রতিমা শিল্পীরা। পূজোর আগে প্রতিমা সরবরাহ করতে হবে, তাই দিনরাত প্রতিমা রাঙাতে ও সাজানোর কাজে ব্যস্ত পার করছেন এ অঞ্চলের শিল্পীরাও। আর বিদ্যার দেবী স্বরসতীর পূজো করে বিদ্যা পেতে শিক্ষার্থীরা অধির আগ্রহে অপেক্ষা করছে। প্রতিবারের মত এবারেও উপজেলায় পুজোর প্রস্ততি নিয়ে সংশ্লিষ্টরা ব্যস্ত।
জানা গেছে, সনাতন ধর্মাবলিদের ২য় বৃহত্তর পূজা জাকজমক ভাবে স্বরসতী পূজা অর্চনা হয়ে আসছে। স্বরস্বতী বিদ্যার দেবী। তাই দেবীর আর্শিবাদ পাওয়ার জন্য শিক্ষার্থীরাই এই পূজোয় বেশী আগ্রহী হয়। মন্দিরে মন্দিরে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে, ক্লাব-সংগঠন ও বাসা-বাড়িতে এবারও পূজার প্রস্ততি চলছে।
রাজশাহীর গনকপাড়ার প্রতিমা শিল্পী অরুন পাল বলেন, প্রায় দুইমাস আগে থেকে প্রতিমা বানানোর কাজ শুরু করেছি। মাটির কাজ একেবারেই শেষ পর্যায়ে রয়েছে। কিছু কিছু প্রতিমার গায়ে রংয়ের কাজ চলছে। আবার কিছু প্রতিমাকে কাপড় পরিয়ে নতুন সাজে সাজানো হচ্ছে। পুজোর আর বেশী দিন বাকী নেই। তাই দ্রæতগতিতে কাজ করা হচ্ছে।
মোহনপুর উপজেলার কামারপাড়া গ্রামের প্রতিমা শিল্পী নারায়ন পাল বলেন, গতবারের চেয়ে এবার প্রতিমা তৈরীর কাজ বেড়েছে। এরই মধ্যে অর্ডার অনুযায়ী এবং রেডিমেড ভাবে দুইশতাধিক প্রতিমা বানানোর কাজ শেষ করেছেন। পূজোর আগের দিন প্রতিমাগুলো ডেলিভারী দেওয়া হবে তাই দিন-রাত পরিশ্রম করে যাচ্ছি।
মোহনপুর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক রনোজিত কুমার রতন বলেন,প্রতি বছরই মাঘ মাসে পঞ্চমী তিথিতে উৎসবমুখর পরিবেশে বিদ্যার দেবী স্বরসতীর পূজা করা হয়। পূজার পরদিন আনন্দ উৎসব করা হয়। মন্দিরে মন্দিরে আলোক সজ্জায় সাজিয়ে, ঢাক-ঢোল ও সাউন্ড সিস্টেমে বাজনা বাজিয়ে আনন্দ-উৎসব পালন করে নানা শ্রেনী-পেশার সনাতন ধম্বালম্বী মানুষ।
মোহনপুর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তাক আহমেদ বলেন, আগামী ৩০ ফেব্রæয়ারী সনাতন ধর্মাবলীদের স্বরসতী পূজা তারা যেনো ভালমত পালন করতে পারে সেজন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকল সহযোগিতা থাকবে।